E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্যাসিনির চোখে শনির বুকে বিশাল ঝড়

২০১৭ মে ০৭ ১৫:৩৯:২৮
ক্যাসিনির চোখে শনির বুকে বিশাল ঝড়

বিজ্ঞান ডেস্ক : শনি গ্রহের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো একে ঘিরে থাকা রিং বা বলয়গুলো। নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান গত ২৬ এপ্রিল শনি গ্রহ এবং তার বলয়ের মাঝে ঝাঁপ দেয় এবং তুলে নেয় কিছু অসাধারণ ছবি। চলুন দেখি তেমনই কিছু ছবি, যাতে দেখা যাচ্ছে শনির বুকে এক বিশাল ঘূর্ণিঝড়ের অবয়ব।

এই ঝাঁপ দেবার সময়ে শনি গ্রহের মেঘমালার ৩ হাজার কিলোমিটার কাছাকাছি চলে আসে ক্যাসিনি, আর সে সময়ে শনির সবচাইতে ভেতরদিকের বলয়ের ৩০০ কিলোমিটারের মাঝে সে ছিল।

শনি গ্রহ এবং বলয়ের মাঝে আদৌ কোনো ফাঁকা জায়গা ছিল কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা, এ কারণে তার অ্যান্টেনাকে ব্যবহার করা হয় একটি বর্মের মতো করে। ঝাঁপ দেবার ২০ ঘন্টা পর পৃথিবীর দিকে আবার সে মুখ ফেরায়। গবেষকেরা জানান এই ছবিগুলো একটি ঘূর্ণিঝড়েরই বটে। এর ব্যাস ছিল প্রায় দেড় হাজার মাইল।

শনির এত কাছে আগে কোনো মহাকাশযান যেতে পারেনি, জানান ক্যাসিনি প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবের গবেষক আর্ল মাইজ। শনি এবং এর বলয়ের মাঝে কী আছে, সে ব্যাপারে শুধু জল্পনা-কল্পনাই ছিল সার। পরিকল্পনামতই ক্যাসিনি এই ঝাঁপ দেয় এবং অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসে।

শনির আবহাওয়া ঠাণ্ডা এবং মূলত হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত। পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠে যে চাপ, শনির মেঘের উপরিভাগেও চাপ তেমন।

শনি নিয়ে এখনো অনেক তথ্য জানা বাকি। শনিতে দিনের সঠিক দৈর্ঘ্য, গ্রহের কাঠামো, বলয়ের উপাদান- এ সবই ক্যাসিনির মাধ্যমে জানা যেতে পারে শীঘ্রই। ক্যাসিনি আরও ২১ বার ঝাঁপ দেবে তথ্য সংগ্রহের জন্য। এরপর সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে নিজেকে পুড়িয়ে ফেলবে শনির বায়ুমন্ডলে।

(ওএস/এসপি/মে ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test