E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক-লরি বন্ধ

২০১৪ জুলাই ১২ ১০:৫০:২১
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক-লরি বন্ধ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ঈদের আগে ও পরে ছয় দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক, কন্টেইনারবাহী লরি ও কাভার্ট ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঈদুল ফিতরে বাড়ি ফেরা ও বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি এবং চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাক মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ঈদুল ফিতরের আগে তিন দিন এবং ঈদের দিনসহ পরবর্তী তিন দিন চট্টগ্রাম থেকে একান্ত জরুরি ও পচনশীল কাঁচা পণ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ট ভ্যান, কন্টেইনার লরি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করবে না।

চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মনজুরুল আলম মঞ্জু বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার্থে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছেন। ঈদের আগে ও পরের দিনগুলোতে প্রতিবছরই তীব্র যানজটের কারণে সাধারণ ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেককে রাস্তায় আটকে থেকে ঈদের নামাজ পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঈদের আগে ও পরে ৬দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্টভ্যান, লরিসহ পণ্যবাহী যানবাহন না চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকলে যানজটও কম হবে।

সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন জানান, ঈদের আগে-পড়ে ৬ দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন না চালানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে তাদের এই বিশেষ উদ্যোগ।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটের মূল কারণ খানা-খন্দকে ভরা মহাসড়ক। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী থেকে মিরসরাই পর্যন্ত মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

এই সড়কে এখন যাত্রীবাহী বাস চলাচলও দুরহ হয়ে উঠেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কে চট্টগ্রাম অংশের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের এতটাই বেহাল দশা হয়েছে যে, এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। প্রতিদিন খানা খন্দকের সড়ক পথে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ি যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে সড়কেই আটকা পড়ছে গাড়ি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অতিরিক্ত খানা-খন্দকে ভরা অংশ সংস্কারে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই দুরাবস্থা থেকে জনগণ মুক্তি পাবে।

(ওএস/এস/জুলাই ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test