E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৪ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি

বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরনখোলা সড়কটির বেহাল দশা

২০১৪ জুলাই ১৮ ১৭:১৭:০৬
বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরনখোলা সড়কটির বেহাল দশা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সিডর ও আইলার বিধ্বংস উপকুলীয় জনপদের সাথে বাগেরহাট জেলা সদর হয়ে সরাসরি সুন্দরবন সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী কচুয়ার সাইনবোর্ড-মোড়েলগঞ্জ-শরনখোলা-বগী আঞ্চলিক সড়কটির নির্মান কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি।

এ অবস্থায় নির্মান ও সংস্কারের অভাবে সড়কটি ভেঙ্গে খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। যান চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। আর এই বর্ষা মৌসুমে তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের পড়তে হয় নানা দূর্ভোগে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা গেছে, বাগেরহাটের দক্ষিনে তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের বসবাস কচুয়ার সাইনবোর্ড- মোড়েলগঞ্জ- শরনখোলা - বগী আঞ্চলিক সড়কটির সাথে। নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে ২০১০ সালে পহেলা জুলাই থেকে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫২.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহাসড়কটির নির্মান কাজ শুরু না হয়ে এক বছর পর ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল ৩ টি গ্রুপে মাত্র ১৭.৩৬ কিলোমিটার সড়কে কাজ শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের গেল জুন মাসের মধ্যে। এই নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও এই ৩টি গ্রুপের কাজের শেষ হয়েছে ৬০ ভাগ। সড়ক বিভাগ দাবি করছে অবশিষ্ট ৪০ ভাগ কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এই মহাসড়কের অবশিষ্ট ৩৪.৭৯ কিলোমিটারের কাজ বর্ধিত সময়ে ২০১৬ সালের জুন মাসে শেষ হবে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগ।

পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, ঈদের আগে সব সড়ক ও মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী
হবে যোগাযোগ মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর আমরা আশ্বান্বিত হয়েছিলাম। তবে জুন মাসের মধ্যে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের অর্থ থেকে এই সড়কের খানা-খন্দ মেরামত না করা এই বর্ষায় সড়কের অবস্থা আরও করুণ হয়েছে।

কচুয়া উপজেলার বিলকুল গ্রামের আব্দুর রহিমসহ অনেকে বলেন, ‘আমাদের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম এই সড়কটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে পড়তে হয়। এমনকি কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায়। আমরা এই দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে চাই’।

শরনখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাগেরহাট জেলা সদরে আদালতে আসতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। মাত্র ৪০ কিলোমিটার পথ আসতে সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। প্রায় সময়ই খানা খন্দকের কারণে পায় হাঁটা লাগে অনেক পথ। সিডরের পর আমাদের একমাত্র দাবি ছিল সড়কটির নির্মান ও সংস্কার কাজ, তা আর হল না।

পোলেরহাটের আবুল কালাম বলেন, সড়কটিতে নির্মান ও সংস্কার কাজ শুরু হলেও কবে নাগাদ শেষ হবে তার অপেক্ষায় থাকলে আমাদের ব্যবসা ও বাণিজ্যর অপূরনীয় ক্ষতি হবে। বর্তমানে বর্ষার সময় আমাদের আরো দূর্ভোগ বাড়ছে। যাত্রীবাহি বাসের সুপারভাইজার ও চালকরা বলেন, ‘ জীবনের রিক্স নিয়ে যানবাহন চালাতে হয়। অনেক সময় গর্তের মধ্যে গাড়ির চাকা আটকে যায়। এর ফলে মালিকে ও যাত্রীদের এবং
যানবাহনের ক্ষতি হয়। তাই আমরা সরকারের কাছে দ্রুত নির্মান সম্পন্নের দাবি জানাই।

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আব্দুল আলী জানান, সাইনবোর্ড-মোড়েলগঞ্জ-শরনখোলা - বগী ৫২.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর সড়কটির ব্রিজ- কালভার্ট ও মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রথম পর্যায়ে ১৭.৩৬ কিলোমিটার সড়কে ৩ গ্রুপের কাজ চলছে। চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে তা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

(একে/জেএ/জুলাই ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test