যে কারণে বিজেপি ফের ক্ষমতায়
![যে কারণে বিজেপি ফের ক্ষমতায়](https://www.u71news.com/article_images/2019/05/24/aklrgjr7.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এবারের জয় ২০১৪ সালের জয়ের তুলনায় অধিক তৃপ্তিদায়ক। সরকারে থাকারয় ‘অ্যান্টি স্টাব্লিশমেন্ট ফ্যাক্টর’ যা সাধারণত সমস্ত শাসক জোটকে মোকাবিলা করতে হয়, সে সবই প্রায় হেলায় উড়িয়ে দিতে পেরেছে বিজেপি।
নির্বাচনী প্রচার পর্বে দুই বিরোধী পক্ষ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করেছিলো। ভারতীয় জনতা পার্টির রণকৌশলের ভিত্তি ছিল দেশের সুরক্ষায় মোদী সরকারের অবদান। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল জোর দিয়েছিলো অর্থনৈতিক সংকটের ওপর।
একথা বলতেই হয় নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে বালাকোটে জঙ্গি আক্রমণ এবং তার পরবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ভোটের গতিপ্রকৃতি নির্ণয়ে অনেকটাই সাহায্য করেছে। কিন্তু স্রেফ একটি ঘটনা দিয়ে জয়ের এই বিপুল ব্যবধানের ব্যাখ্যা করা কঠিন।
দ্বিতীয় কারণ— যোজনা কিংবা উজালা প্রকল্প। এই জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিও যে বিজেপি সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে অন্যতম কারণ, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতেই পারে।
তৃতীয় কারণটি অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য ও ঐক্যবদ্ধ একটি জোট গঠনে বিরোধী পক্ষের ব্যর্থতা। বিজেপি দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতাটিকে মোদীকেন্দ্রিক করে তুলতে সফল। এবং সেই নিরিখে বিরোধী পক্ষ জনপ্রিয়তায় তার সমকক্ষ কোনো নেতা বা নেত্রীকে নির্বাচকদের সামনে হাজির করতে ব্যর্থ।
এটি স্পষ্ট যে রাহুল গান্ধী এখনও বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নন। নেতৃত্ব শূন্যতা যদি একটি কারণ হয়, অন্যতম কারণ বিরোধী পক্ষের অভ্যন্তরেই নানাবিধ ফাটল।
বিজেপি এককভাবে যথেষ্ট বলশালী হওয়া সত্ত্বেও দ্রুত গতিতে একাধিক রাজ্যে জোট গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে যাদের জন্য জোট গঠন জরুরি ছিলো এই ভোটে, সেই বিরোধী পক্ষ যতটা গর্জেছে, ততটা বর্ষায়নি।
এর কারণ বিরোধীরা কোনো যৌথ কর্মসূচির বার্তা, ভারতের রাজনীতিতে যা ‘কমন মিনিমাম পোগ্রাম’ বলে বেশি পরিচিত সেটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি।
এবার আসি পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফলাফলে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্মরণীয় হয়ে থাকার অনেকগুলি কারণের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অগ্রগমন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা অভূতপূর্ব। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন মোদী হাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ২টি আসন বিজেপি পেলেও তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিলো।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের উল্লাসএবারের লোকসভা ভোটে তাদের আসন সংখ্যায় সেই আভাসটিই বাস্তবে রূপায়িত হল। আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এবারের ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের অবলুপ্তি। এই নির্বাচনে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তারা কার্যত প্রত্যাখ্যাত। ঠিক যেমন ভারতের রাজনীতিতেও তারা প্রান্তিক হয়ে গেছে।
বামেরা আলোচনার বাইরে চলে যাওয়াতে বাম ভোট পড়েছে বিজেপিতে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতাবিরোধী হিসেবে বামেদের নয় বিজেপিকে যোগ্য দল হিসেবে মনে করেছে।
অন্যদিকে মমতার ‘পপুলিস্ট’ রাজনীতির সুফলটুকুও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছাবার আগেই অনেকটাই স্বজন পোষণের জন্য বেহাত হয়ে গেছে। সেই হিসেবে দেখলে তৃণমূলের যে ভোটটুকু বেড়েছে সেটা বাম ও কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট।
অন্যদিকে কংগ্রেসে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব এবং রাহুল গান্ধী ও মমতার ‘নরম হিন্দুত্ব’ বাতিল করে হিন্দু ইস্যুকে সামনে রেখে ভোটাররা কট্টর হিন্দুত্বকেই বেছে নিয়েছে।
এছাড়া গোটা ভারতের নিরিখে এবারে বিজেপির উত্থান অন্যতম দুটি কারণ। এক. গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্র। উচ্চ স্থানীয় পদগুলো কখনই তাদের পরিবাবরের হাতের বাইরে ছাড়তে চায় না। এতে তাদের কর্মী সমর্থকদেরও একটা ক্ষোভ কাজ করে, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরিবারতন্ত্রের বিষয়টি ১৩৫ কোটি মানুষ খুব একটা ভালো চোখে এবার দেখেনি।
অন্যদিকে মমতার নেতৃত্বে ২২টি আঞ্চলিক দলের জোট বা ফেডারেল ফ্রন্টে কে হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই মুখ তারা সামনে আনতে পারেনি।
এর পাশাপাশি ফেডারেল ফ্রন্টের নেতৃত্বসহ কংগ্রেসের মধ্যে একাধিক নেতার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে বিজেপির নোটবন্দীসহ সাম্প্রদায়িক অশান্তির বিষয়গুলো চাপা পড়েছে ভোটের আগে। কারণ, ভারতীয় জনগণ সম্ভবত এটাই মনে করেছে আর যাই করুক বিজেপির উচ্চস্থানীয় নেতাদের মধ্যে দুর্নীতির দাগ নেই।
এর পাশাপাশি এবারে ১৮ কোটি তরুণ ভোটার, যাদের সেভাবে কোনো ধারণাই নেই গুজরাট দাঙ্গা বা বাবরি মদজিদ ভাঙার অশান্তির দিনগুলোর ব্যাপারে।
এছাড়া ভারতীয় প্রান্তিক মানুষ; যারা এক সময় শৌচকর্ম মাঠেই সারতো, সেদিকে জাতপাত ধর্ম না দেখে সরকারি খরচে বাড়ি প্রতি শৌচ ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং এসব মানুষের কাছে কম খরচে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া— এসব ইস্যু এবারের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে গেছে।
এর ফলেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারতে তাদের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছে। আগামীতেও এই ধারা চলতে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই ধারা চলতে থাকলে সম্ভবত ২০২১ সালে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদও মমতার খোয়া যেতে পারে।
(ওএস/পিএস/মে ২৪, ২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- বিদেশি উৎসবে মেহজাবীনের প্রথম সিনেমা
- ‘ব্যর্থতা আড়াল করতে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে সরকার’
- ছাত্রনেতাদের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের আলোচনার আহ্বান
- কোটা আন্দোলনে আহতদের আয়-রুজির ব্যবস্থার আশ্বাস
- ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেফতার ২৩৫৭
- সাংবাদিকদের উপর ও বিটিভি ভবনে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় প্রতিবাদ সমাবেশ
- নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রত্যয় হয় জয়, না হয় মৃত্যু!
- মাদারীপুরে সহিংসতায় দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত
- স্কুলের জমিতে দোকান, কোমলমতি শিশুদের পাঠদান ব্যাহত
- রাজবাড়ীতে ইউপি সদস্যসহ ২ সহোদর কারাগারে
- ‘শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে’
- ‘যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
- সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
- প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা
- ট্রাম্প কী পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরছেন
- বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র, মুম্বাইয়ে রেড অ্যালার্ট
- যা থাকছে প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
- আপাতত বন্ধই থাকছে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ
- ইথিওপিয়ায় ভূমিধসে ২২৯ জনের মৃত্যু
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে নাক না গলাতে মমতাকে নয়াদিল্লির বার্তা
- গৌরনদীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ
- গ্রেপ্তারদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিতের আহ্বান কানাডার
- বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬ বিলিয়ন ডলার
- আশাশুনির বাহাদুরপুরে বাসন্তী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
- সাতক্ষীরায় নাশকতার মামলায় জামায়াত বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- ভাঙ্গায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর বেঁচে থাকার আর্তনাদ
- দুর্নীতিবাজ সিনহার বই অন্তর্জ্বালা থেকে : আইনমন্ত্রী
- সংলাপে রাজি নন আন্দোলনকারীরা
- আর্জেন্টিনার জয়ে খুশি মেহজাবীন
- ‘নতুন কারিকুলামের শিক্ষা সার্কভুক্ত দেশগুলোও ফলো করছে’
- ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের জন্য অনুদান দিলেন ইলন মাস্ক
- কালিগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যাচ্ছে বেনজীরের রূপগঞ্জের ডুপ্লেক্স বাড়ি
- কোটা বাতিলের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ
- নাটোরের বড়াইগ্রামে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- তিতলি-মাইকেল-লুবান : একসঙ্গে তিন ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পৃথিবী
- রাজবাড়ীতে শিক্ষার্থী-পুলিশ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ২
- কোটা সংস্কার ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
- মাদারীপুরে কোটা বাতিলের দাবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ৩০, আটক ৮
- ‘পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে’
- নেপালে বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১১
- মিছিলে মিছিলে মুখরিত কোটালীপাড়া
- বোয়ালমারীতে আচরণ বিধি লঙ্ঘনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা