যে কারণে বিজেপি ফের ক্ষমতায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এবারের জয় ২০১৪ সালের জয়ের তুলনায় অধিক তৃপ্তিদায়ক। সরকারে থাকারয় ‘অ্যান্টি স্টাব্লিশমেন্ট ফ্যাক্টর’ যা সাধারণত সমস্ত শাসক জোটকে মোকাবিলা করতে হয়, সে সবই প্রায় হেলায় উড়িয়ে দিতে পেরেছে বিজেপি।
নির্বাচনী প্রচার পর্বে দুই বিরোধী পক্ষ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করেছিলো। ভারতীয় জনতা পার্টির রণকৌশলের ভিত্তি ছিল দেশের সুরক্ষায় মোদী সরকারের অবদান। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল জোর দিয়েছিলো অর্থনৈতিক সংকটের ওপর।
একথা বলতেই হয় নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে বালাকোটে জঙ্গি আক্রমণ এবং তার পরবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ভোটের গতিপ্রকৃতি নির্ণয়ে অনেকটাই সাহায্য করেছে। কিন্তু স্রেফ একটি ঘটনা দিয়ে জয়ের এই বিপুল ব্যবধানের ব্যাখ্যা করা কঠিন।
দ্বিতীয় কারণ— যোজনা কিংবা উজালা প্রকল্প। এই জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিও যে বিজেপি সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে অন্যতম কারণ, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতেই পারে।
তৃতীয় কারণটি অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য ও ঐক্যবদ্ধ একটি জোট গঠনে বিরোধী পক্ষের ব্যর্থতা। বিজেপি দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতাটিকে মোদীকেন্দ্রিক করে তুলতে সফল। এবং সেই নিরিখে বিরোধী পক্ষ জনপ্রিয়তায় তার সমকক্ষ কোনো নেতা বা নেত্রীকে নির্বাচকদের সামনে হাজির করতে ব্যর্থ।
এটি স্পষ্ট যে রাহুল গান্ধী এখনও বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নন। নেতৃত্ব শূন্যতা যদি একটি কারণ হয়, অন্যতম কারণ বিরোধী পক্ষের অভ্যন্তরেই নানাবিধ ফাটল।
বিজেপি এককভাবে যথেষ্ট বলশালী হওয়া সত্ত্বেও দ্রুত গতিতে একাধিক রাজ্যে জোট গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে যাদের জন্য জোট গঠন জরুরি ছিলো এই ভোটে, সেই বিরোধী পক্ষ যতটা গর্জেছে, ততটা বর্ষায়নি।
এর কারণ বিরোধীরা কোনো যৌথ কর্মসূচির বার্তা, ভারতের রাজনীতিতে যা ‘কমন মিনিমাম পোগ্রাম’ বলে বেশি পরিচিত সেটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি।
এবার আসি পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফলাফলে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্মরণীয় হয়ে থাকার অনেকগুলি কারণের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অগ্রগমন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা অভূতপূর্ব। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন মোদী হাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ২টি আসন বিজেপি পেলেও তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিলো।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের উল্লাসএবারের লোকসভা ভোটে তাদের আসন সংখ্যায় সেই আভাসটিই বাস্তবে রূপায়িত হল। আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এবারের ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের অবলুপ্তি। এই নির্বাচনে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তারা কার্যত প্রত্যাখ্যাত। ঠিক যেমন ভারতের রাজনীতিতেও তারা প্রান্তিক হয়ে গেছে।
বামেরা আলোচনার বাইরে চলে যাওয়াতে বাম ভোট পড়েছে বিজেপিতে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতাবিরোধী হিসেবে বামেদের নয় বিজেপিকে যোগ্য দল হিসেবে মনে করেছে।
অন্যদিকে মমতার ‘পপুলিস্ট’ রাজনীতির সুফলটুকুও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছাবার আগেই অনেকটাই স্বজন পোষণের জন্য বেহাত হয়ে গেছে। সেই হিসেবে দেখলে তৃণমূলের যে ভোটটুকু বেড়েছে সেটা বাম ও কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট।
অন্যদিকে কংগ্রেসে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব এবং রাহুল গান্ধী ও মমতার ‘নরম হিন্দুত্ব’ বাতিল করে হিন্দু ইস্যুকে সামনে রেখে ভোটাররা কট্টর হিন্দুত্বকেই বেছে নিয়েছে।
এছাড়া গোটা ভারতের নিরিখে এবারে বিজেপির উত্থান অন্যতম দুটি কারণ। এক. গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্র। উচ্চ স্থানীয় পদগুলো কখনই তাদের পরিবাবরের হাতের বাইরে ছাড়তে চায় না। এতে তাদের কর্মী সমর্থকদেরও একটা ক্ষোভ কাজ করে, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরিবারতন্ত্রের বিষয়টি ১৩৫ কোটি মানুষ খুব একটা ভালো চোখে এবার দেখেনি।
অন্যদিকে মমতার নেতৃত্বে ২২টি আঞ্চলিক দলের জোট বা ফেডারেল ফ্রন্টে কে হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই মুখ তারা সামনে আনতে পারেনি।
এর পাশাপাশি ফেডারেল ফ্রন্টের নেতৃত্বসহ কংগ্রেসের মধ্যে একাধিক নেতার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে বিজেপির নোটবন্দীসহ সাম্প্রদায়িক অশান্তির বিষয়গুলো চাপা পড়েছে ভোটের আগে। কারণ, ভারতীয় জনগণ সম্ভবত এটাই মনে করেছে আর যাই করুক বিজেপির উচ্চস্থানীয় নেতাদের মধ্যে দুর্নীতির দাগ নেই।
এর পাশাপাশি এবারে ১৮ কোটি তরুণ ভোটার, যাদের সেভাবে কোনো ধারণাই নেই গুজরাট দাঙ্গা বা বাবরি মদজিদ ভাঙার অশান্তির দিনগুলোর ব্যাপারে।
এছাড়া ভারতীয় প্রান্তিক মানুষ; যারা এক সময় শৌচকর্ম মাঠেই সারতো, সেদিকে জাতপাত ধর্ম না দেখে সরকারি খরচে বাড়ি প্রতি শৌচ ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং এসব মানুষের কাছে কম খরচে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া— এসব ইস্যু এবারের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে গেছে।
এর ফলেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারতে তাদের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছে। আগামীতেও এই ধারা চলতে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই ধারা চলতে থাকলে সম্ভবত ২০২১ সালে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদও মমতার খোয়া যেতে পারে।
(ওএস/পিএস/মে ২৪, ২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- ছাত্রলীগ নেতা সাঈদী ও জোবায়েরের বিরুদ্ধে মামলা
- মুক্তির অনুমতি পেল ‘বিউটি সার্কাস’
- ডিজোর স্মার্টওয়াচ ও তারহীন হেডফোন
- পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নারী রেফারি
- সোনারগাঁওয়ে ভোরের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- রাশিয়ার হামলায় ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে ডনবাস : জেলেনস্কি
- শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না : কাদের
- যেখানে গরিব মরে ঘাটে ঘাটে!
- সবজির বাজার চড়া, বেড়েছে ডিমের দামও
- দেশের ক্ষতি করে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করবে না রাশিয়া
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৯২
- গোপালগঞ্জে বাজি ফোটানোর সময় দুই শিক্ষার্থী আহত
- কালিগঞ্জে ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেফজখানার শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ
- কামারখন্দে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ নিহত ২
- সাভারে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন সিইসি
- দেশে প্রথম আখের সাথী ফসল ধান চাষ
- ফর্মে ফেরা নয়, দলকে জেতাতে পারায় খুশি কোহলি
- অবশেষে মুক্তির অনুমতি পেল ‘বিউটি সার্কাস’
- দেশের অর্ধেক নারী, নারীকে বাদ দিয়ে কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়
- আফ্রিকার পর বিভিন্ন দেশে ছড়াচ্ছে ‘মাঙ্কিপক্স’
- আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সাথে শেষ আলাপ
- গলাচিপা ভূমি অফিসে রাতেও উড়ে জাতীয় পতাকা!
- দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ৭টির সচল ৩টি, ভোগান্তিতে যাত্রী ও যানবাহন চালক
- সিরাজগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
- কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারী, আটক ১
- পুলিশ সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করা আসামি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার
- জামালপুরে মৎস্যচাষীদের মাঝে প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ
- তীরসংরক্ষণ বাঁধে ধস, হুমকির মুখে যমুনা তীরবর্তী অঞ্চল
- ‘বিএনপি কাদেরের কথায় কান দেয় না’
- ‘আমার নামে যারাই চাঁদাবাজি করবে, কঠোর ব্যবস্থা’
- ইউক্রেনের বন্দর চালু করতে হলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে হবে
- স্ত্রীর কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু আজ
- ‘বঙ্গবন্ধু নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রথম পথপ্রদর্শক’
- উপহারের ঘর নিয়ে তথ্যচিত্র : ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’
- স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে
- আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি
- আজ বিশ্ব পরিমাপ দিবস
- জামালপুরের দ্বিতীয় নারী ডিসি শ্রাবস্তী রায়
- সিলেটের নালুয়া চা বাগানে পাক বর্বররা ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়
- রাজারহাট খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ের উদ্বোধন
- হালুয়াঘাটে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন
- বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ, নেই বিকল্প কর্মসংস্থান
- সীমান্ত অপরাধ রুখতে মৌলভীবাজারে পুলিশের বিশেষ কর্মসূচি
- ফরিদপুর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা
- বোয়ালমারীতে বাংলা টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বেলকুচি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি পদে মমিন মন্ডল এমপির মনোনয়নপত্র জমা
- ঘাটাইলে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি
- অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিদেশ ভ্রমণ এড়ানোর নির্দেশ
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !
- তেঁতুল গাছের ‘খ্যাটে’র কদর বেড়েছে