E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

২০১৪ আগস্ট ২০ ১৫:০৬:১০
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার বেলা বারটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ৫০টি ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রাম। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় শতাধিক হেক্টর আবাদি জমির ফসল। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাত্তদের জন্য ২৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে প্রায় ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে জেলার অভ্যন্তরিন নদ নদীগুলোতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফলে জেলা সদরের খোকশাবাড়ি, রতনকান্দি, ছোনগাছা, মেছড়া, কাওয়াখোলা, কালিয়া হরিপুর ও সয়দাবাদ ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম, কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী, কাজিপুর সদর, শুভগাছা, গান্ধাইলের আংশিক, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী ও মনসুর নগর ইউপির প্রায় ৯০ টি গ্রাম, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি, জালালপুর, গালা, সোনাতনি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম, চৌহালী উপজেলার সোদিয়া চাদপুর, স্থল, খাস কাউলিয়া ও খাস পুকুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম, তাড়াশ উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত প্রায় সকল ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামসহ ৯টি উপজেলার প্রায় ৫০টি ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে এই এলাকাগুলোর তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এ সকল এলাকার শতাধিক হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলীয়ে গেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকেরা।
এদিকে বন্যা কবলিতদের জন্য জরুরি ত্রান হিসেবে ইতিমধ্যেই জেলার সদর উপজেলায় ৩ মেট্রিক টন, বেলকুচি উপজেলায় ৫ মেট্রিক টন, শাহজাদপুর উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন ও কাজিপুর উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন বুধবার জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যে চারটি উপজেলার চাহিদা পত্র পাওয়া গেছে তাদের ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলার তালিকা পাওয়া গেলে তাদেরও ত্রাণ দেয়া হবে।
(এসএস/এএস/আগস্ট ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test