E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমতলীতে ১১টি সরকারি স্কুল ভবন বিধ্বস্ত

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৬:০২:৫৯
আমতলীতে ১১টি সরকারি স্কুল ভবন বিধ্বস্ত

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলার ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দীর্ঘদিন যাবৎ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে[ আছে। এসব বিধ্বস্ত ভবন অপসারণ ও সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা ।

বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাওঘা সততা, উত্তর পশ্চিম টেপুরা, দক্ষিন রাওঘা, আমতলী ইউনিয়নের পশ্চিম আমতলী আদর্শ, মাইঠা, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ভায়লা বুনিয়া, দক্ষিন ঘোপখালী, গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী বোর্ড, কলাগাছিয়া হাট, পূর্ব কালিবাড়ী ও চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্থ হয়ে পরে আছে। একটু বৃষ্টি এলেই এ বিদ্যালয়গুলো ছুটি দিয়ে দিতে হয়।

চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সংলগ্ন একটি টিনসেট কক্ষে কোন রকম ক্লাশ নিচ্ছে শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের মূল ভবন বহুবছর যাবৎ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। এসময় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সেলিম বলেন, বিদ্যালয় ভবন না থাকায় আমাদের ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে, আমরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছি না।

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই শ্রেণীকক্ষ পানিতে তলিয়ে যায়, আবার রোদের দিনে প্রচন্ড রোদ পরে।

গোজখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র কাওসার ও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মিম বলেন, মূল ভবন না থাকায় টিন সেটের জরাজীর্ণ শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করতে হয়। বৃষ্টির দিনে চালা দিয়ে ঝরঝর করে বৃষ্টি পরে। জোয়ারের পানিতে বিদ্যালয় ভবন তলিয়ে যাওয়ায় আমরা ক্লাস করতে পারছি না।

চাওড়া পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা বেগম বলেন, ১৯৯৪ সালে আমাদের এ স্কুল ভবন নির্মাণ করে। ২০০৪ সালে ভবনটি পাঠদান উপযোগী না থাকায় পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকে কোন মতে বিদ্যালয়ে পাঠদান চালিয়ে আসছি। ২০০৭ সালে সিডরে ভবন সংস্কারের জন্য কিছু টাকা পেয়েছি। ওই টাকা দিয়ে টিন সেটের ঘর নির্মাণ করে পাঠদান করে যাচ্ছি। স্কুলের এ অবস্থা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বহু আবেদন করেছি কোন ফল হচ্ছে না।

গোছখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিদ্যালয়টির মূল ভবন ১৯৭০ সালে নির্মাণ করা হয়। ভবন পরিত্যাক্ত হওয়াতে ১৯৮৪ সালে টিন সেটের ঘর নির্মাণ করে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ বিদ্যালয়টি পাউবোর বেড়িবাঁধের বাহিরে হওয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে একটু বেশি পানি হলেই মূল ভবনসহ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ তলিয়ে যায়। এতে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদ হোসেন বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া ভবনগুলোর তালিকা আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষে কাছে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই নুতন করে এ স্কুলগুলো করা হবে।

(এমএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪)



পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test