E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শীত আসছে, বাড়ছে রায়পুরে ধুনরিদের ব্যস্ততা

২০১৪ অক্টোবর ২২ ১৬:৪৮:২৭
শীত আসছে, বাড়ছে রায়পুরে ধুনরিদের ব্যস্ততা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ঋতু গণনায় শীতকাল না এলেও কার্তিকের শুরুতেই লক্ষ্মীপুর জেলাসহ রায়পুর উপজেলার জেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। এই শীত নিবারণের জন্য মার্কেটগুলো ও লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তাই শীতকে সামনে রেখে শহরের ধুনরিরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শহরের নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ধুনরিরা লেপ-তোষক তৈরিতে ভীষণ ব্যস্ত। তাঁরা জানান, সারা বছর তেমন কাজ থাকে না। তাই শীত মৌসুমে লেপ-তোষক তৈরি করে উপার্জিত অর্থ দিয়েই বছরের পুরোটা সময় পার করেন।


শীতকে উপভোগ করার পাশাপাশি শীতের হাত থেকে রক্ষার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় লেপ-তোষক বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠছে বাড়ির রমণীরা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ধুনকাররা নিয়মিত ব্যস্ত হয়ে উঠছে। ফলে ব্যস্ত হয়ে উঠছে রায়পুরের ধুনকাররা। তবে কাপড়, তুলাসহ পারিশ্রমিক বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষদের। তবু সে দিকে খেয়াল না রেখেই সবাই গুনছে শীতের আগমনী বার্তা। লেপের জন্য ব্যবহৃত জুম বা আটি তুলায় গত বছরের চেয়ে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে। সি-পল তুলার প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ টাকা। ফলে বর্তমান দর ১৭০ টাকা। লেপের জন্য ব্যবহৃত প্রতি গজ শালু কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫ টাকা বেশি। অনুরূপভাবে তোষকের জন্য ব্যবহৃত পাট্টা কাপড়ে প্রতি গজে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মণভেদে ৬৫ টাকা পর্যন্ত।



সূত্র মতে, চলতি বছর ৪ বাই ৫ হাত একটি লেপের জন্য মোট খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং একই মাপের লেপে তোষক তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছর এ মাপের লেপে খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩০০ টাকা। আর তোষকে খরচ হতো ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

অতিরিক্ত খরচ বহন করা সত্যিই কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করেন ক্রেতা মো. সিরাজ মিয়া। তবুও আসন্ন শীত থেকে রক্ষার জন্য পিছু হটলে চলবে না। ধনুকারদের মন্তব্য, প্রকৃতির দান শীত ঋতুই আমাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। আমাদের করে তুলেছে কর্মব্যস্ত।

পৌর শহরের ধুনকর আলগীর (৩২) বলেন, ‘সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয় শুধু এই শীত মৌসুমের অপেক্ষায়। বর্তমানে মোটামুটি কাজ আসছে ২/১ সপ্তাহ পরে কাজের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। লেপ তোষকের কাপড় ও তুলার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পার্স্ববতীর একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, শীত মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময় প্রতি মাসে দু-একটি লেপ বিয়ে উপলক্ষে বিক্রি করা যায়, যা দিয়ে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে শীত মৌসুমের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।

(এমআরএস/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test