E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কিশোরগঞ্জে দাফনের সময় জেগে উঠলেন এক যুবক

২০১৪ নভেম্বর ০৪ ১১:৩৫:০০
কিশোরগঞ্জে দাফনের সময় জেগে উঠলেন এক যুবক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর বাড়ি এনে গোসল, কাফন ও জানাজা শেষে চলে দাফনের আয়োজন। ঠিক এমনই সময় হঠাৎ নড়াচড়া করে উঠলেন মাসুম মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক। অবিশ্বাস্য হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শুকিয়া গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ অক্টোবর মাসুম মোটরসাইকেলে করে পাকুন্দিয়া থেকে কিশোরগঞ্জে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার্ড করেন। মাসুমকে ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৪ দিন ওআইসিতে রাখার পর অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ করে দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে বাঁচানোর কোনো আশা নেই জেনে রবিবার বিকেলে নিজ বাড়ি পাকুন্দিয়ায় ফিরিয়ে আনে। এ সময় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আবার পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শেষ চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম রোগীকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাড়িতে নিয়ে লাশের গোসল, কাফন ও জানাজা শেষে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। দাফন করানোর সময় হঠাৎ লাশ নড়াচড়া করতে দেখা যায়। লোকজন নড়াচড়া দেখে ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় নাসিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি লাশের মুখ খুলে দেখেন সত্যিই মাসুম জীবিত। এমনকি তিনি পানির জন্য হাহাকার করছেন। লোকজন তাড়াতাড়ি করে তাকে পানি পান করতে দেয়।

এরপর বাড়িতে নিয়ে গেলে আশপাশের কয়েক ইউনিয়নের হাজারও লোকজন তাকে দেখতে রবিবার মধ্যরাত ও সোমবার বিকেল পর্যন্ত ভিড় জমায়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভাল থাকার পর হঠাৎ সন্ধ্যায় মাসুমের অবস্থার অবনতি হয়। এরপর নিজ বাড়িতেই মারা যান তিনি।

মাসুমের বাবা আমীর হোসেন জানান, রবিবার রাত ও সোমবার সারাদিন মাসুম খাওয়া-দাওয়া করে। সবার সঙ্গে কম-বেশি কথাও বলেছে। কিন্তু সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা বলে চিৎকারের কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test