E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পানি সেচে চলে ফেরি !

২০১৪ নভেম্বর ২৬ ১৫:০১:৩৬
পানি সেচে চলে ফেরি !

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদী পাড়ের এক প্রাচীন ঘাট হলো, কালনা ঘাট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কালনা ফেরি ঘাটে একটি ‘নৌ চেক পোষ্ট’ স্থাপন করা হয়েছিল বলে ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়।

এই ঘাটের পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে লোহাগড়া উপজেলা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কালনা ঘাটের দু’টি ফেরি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যানবাহন পারাপারের জন্য মাত্র দু’টি ফেরি থাকলেও তার তলদেশে অসংখ্য ছিদ্র (ফুটো)। মধুমতি নদীর পানি সহজেই ঢুকে পড়ে ফেরির মধ্যে ! অগত্যা, ফেরি কর্মীরা পানি সেচে সেচে ফেরি দু’টি সচল রেখেছেন। এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ ফেরি দিয়েই পারাপার হচ্ছে যানবাহন। এতে করে যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার আশংকা থাকলেও কর্তৃপক্ষ

নতুন ফেরি স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় যাত্রী সাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ফেরি কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে কালনা ফেরি ঘাটে দু’টি ফেরি চলাচল করছে। এ গুলো হলো, ইউটিলিটি টাইপ-১ এর ১৪ ও ১৬ নম্বর ফেরি। ১৪ নম্বর ফেরিটির তলদেশে অসংখ্য ছিদ্র থাকায় পানি উঠে গত ১৮ জুন গভীর রাতে ৬টি ট্রাকসহ ফেরিটি মধুমতি নদীতে ডুবে গিয়েছিল। পরবর্তীতে, ৫দিন পর ফেরিটি উদ্ধার করা হয় এবং বর্তমানে ওই ফেরিটি দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ইউটিলিটি-১ এর ১৬ নম্বর ফেরিটিরও একই দশা। তারও তলদেশ জুড়ে অসংখ্য ছিদ্র।

সূত্রটি আরও জানায়, ১৪ নম্বর ফেরিটি ডুবে যাওয়ার ৫দিন পরে ইউটিলিটি টাইপ-১ এর ০০৫ নম্বর নামের একটি ফেরি কালনা ঘাটে আনা হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে নির্মিত এই ফেরিটি ১২টি বড় গাড়ি পারাপারে সক্ষম। কিন্তু এই ফেরিটির ইঞ্জিন নেই। ফেরিটি এখানে (কালনা ঘাটে) আনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ঘাটেই বাঁধা রয়েছে।

ফেরি চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছিদ্র হওয়া ফেরি দিয়েই প্রতিদিন ২/৩ দফায় পানি সেচে ফেরিটি চালাতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছে যানবাহন। ফেরিটি মেরামতের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেন নাই’।

ঘাটের ইজারাদার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জোড়াতালি দেওয়া এই ফেরি দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তা ছাড়া, এতে ডিজেলও বেশি খরচ হয়।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) গোপালগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরন রায় মুঠোফোনে সাংবাদিকদের কালনা ঘাটের ফেরি সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, ‘দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কালনা একটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাট। এই ঘাটে একটি নতুন ও বড় ফেরি প্রয়োজন। কিছুদিন আগে আনা ০০৫ নম্বর ফেরিটিতে একটি পুরাতন ইঞ্জিন বসানোর কাজ চলছে, কাজ শেষ হলেই ওই ফেরিটি যানবাহন পারাপারের কাজে ব্যবহৃত হবে’।

(আরএম/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test