E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তালগাছী পশুপাখি কল্যাণ কেন্দ্র ৪ বছর ধরে বন্ধ, বিপাকে খামারীরা

২০১৪ ডিসেম্বর ১৪ ১৪:২০:১২
তালগাছী পশুপাখি কল্যাণ কেন্দ্র ৪ বছর ধরে বন্ধ, বিপাকে খামারীরা

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : পানি নিষ্কাশনে বাধা ও চারিপাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় শাহজাদপুরের তালগাছী গরুর হাটে অবস্থিত পশুপাখি কল্যাণ কেন্দ্রটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে এ কেন্দ্রটি এখন মানুষের কোন কাজেই লাগছেনা।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, পশুপাখির উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহজাদপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শত বছরের পুরানো গাড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছী গরুর হাটে অবস্থিত এ কল্যাণ কেন্দ্রটি এখন কোন কাজেই লাগছে না। এ কল্যাণ কেন্দ্রটির পাশেই একটি বিশাল ড্রেন থাকলেও তা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই এ কল্যাণ কেন্দ্রটির মধ্যে পানি জমে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত ৪ বছর এ কল্যান কেন্দ্রটির দরজাও খোলা হয়নি।

এ ব্যাপারে কথা হয় শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল হাই এর সাথে। তিনি জানান, কল্যান কেন্দ্রটির প্রবেশ পথ ও পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ কেন্দ্রটি এখন পরিত্যক্ত। তিনি আরো জানান, বিষয়টি উপজেলা মাসিক সভায় বারবার তুললেও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোন সহযোগিতা না করায় এই কেন্দ্রটি পশু পাখি চিকিৎসার কোন কাজেই লাগছে না। জানা গেছে, ৩টি ইউনিয়নের মধ্যস্থল এ পশুকল্যাণ কেন্দ্রটি থেকে গবাদী পশুর চিকিৎসা দেওয়া হতো। অভিযোগ রয়েছে ভুমি অফিসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগ সাজসে ভুমি অফিস থেকে এ কেন্দ্রের চারপাশে দোকানের জন্য ব্যবসায়ীদের ভুমি বন্দবস্ত দেয়ায় এখানকার প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাপা গলি দিয়ে কোন ভাবে যাতায়াত করতে হয় এ কেন্দ্রটিতে।

এ ব্যাপারে কথা হয় গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, তার ইউনিয়নে এ বিষয়ে কোন বাজেট না থাকায় তিনি এ কেন্দ্রটির কোন সংস্কার কাজ করতে পারছেননা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ পশুপাখি কল্যাণ কেন্দ্রটি দখলমুক্ত করার জন্য শিগগির পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ পশূপাখি কল্যান কেন্দ্রটি চাল না থাকায় এ অঞ্চলের খামারীরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে গিয়ে তাদের পশুপাখির চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

(এআরপি/এএস/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test