E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবন বিপর্যয়

নেপথ্যে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল

২০১৪ ডিসেম্বর ১৮ ১৯:১১:৪৭
নেপথ্যে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল

আহসানুল করিম, রামপাল থেকে : সুন্দরবন বিপর্যয়ের নেপথ্যে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-বাণিজ্য প্রটোকলভুক্ত বাগেরহাটের মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। চ্যানেলটি চালু থাকলে সুন্দরবনের শেলা নদীতে ফার্নেস অয়েল ট্যাংকার দুর্ঘটনা ঘটতো না। একারনেই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা দাবী করেন। ২০০৯ সালে এই চ্যানেলের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী অংশে নাম মাত্র খনন কাজ শুরু করেই দু’মাসের মাথায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিএ। এর পরে ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে সকল প্রকার নৌযান চলাচল শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে সেখানকার এলাকাবাসি, ব্যবসায়ী, নৌযান শ্রমিক ও জনপ্রতিনিধিরা এই নৌরুটের বিভিন্ন দূর্ভোগের চিত্র তুলে ধরেন। রমাপাল থানা ঘাটের নৌকা চালক সুলতান আহম্মেদ, দিনমুজুর আলী শেখ বলেন, একুশ বছর ধরে এই নৌরুটে নৌকা চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতাম। এই নৌরুটটি বন্ধ হওয়ায় আমাদের পেটে ভাত নেই। আজ আমাদের অর্ধাহারে অনাহারে কাটাতে হচ্ছে। এই চ্যানেলটি খননের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।

চ্যানেলের দক্ষিন পাশের স্থানীয় পেড়িখালী এলাকার বাসিন্দা বাবুল শেখ ও মুক্ত হোসেন বলেন, এই নদী খনন না করা হলে বর্ষাকালে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আরো দূর্ভোগ বাড়িয়ে দেবে। তবে নদী খননের আগে প্রভাবশালীদের কাটকে রাখা সরকারি খাল খনন ও বাঁধ কাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে মংলা ও রামপাল উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নৌরুটের বুকে আটকে থাকা “ফরাজী পরিবহন” নামের একটি কার্র্গোর চালক জাহাঙ্গীর বলেন, সুন্দরবনের নৌরুটটি বন্দ হওয়ায় খুলনা থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কার্গোটি নিয়ে এই রুট দিয়ে যাওয়ার সময় রামপালের কুমারখালী নদীর চরে গত সাত দিন ধরে আটকে রয়েছে। কার্গোয় থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে চলাচলে অনেক পথ ঘুরতে হয় এবং বনদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাতে হয়। এই রুটটি চালু থাকলে আমাদের ঝুকি নিয়ে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে হতো না।
চ্যানেলের কোল ঘেষা স্থানীয় পেড়ীখালী ইউপির সদস্য শাহাদাত হোসেন বলেন, এই চ্যানেলটি বন্দ থাকায় বর্ষাকালে এলাকায় পানি উঠে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় এবং জলবন্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনকি অনেক পরিবারের মা-বোনরা রান্না-বান্না করতে পারে না। এই নদী খননের আগে ক্ষমতাধর দখলবাজদের চিংড়ী ঘেরের নামে আটকে রাখা সরকারী খাল অবমুক্ত করা জরুরী।

ওই এলাকাবাসি জানায়, রামপাল উপজেলার ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মহল খনন করা প্রবাহমান খালগুলো দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চিংড়ি চাষ করে আসছে। ফলে এই নদীর প্রবাহিত পানি ওই শাখা খালগুলোতে প্রবেশ করতে না পারার কারনে নদী মরে গেছে। এই নদীর প্রবাহিত পানি ওই শাখা খালগুলোতে প্রবেশ করতে পরছে না বলেই দ্রুত নব্যতা হ্্রাস পেয়েছে। এর ফলে এলাকায় নানা দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

রামপাল নদী-খাঁল রক্ষা কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, সুন্দরবন ও মংলা বন্দর রক্ষায় আর্ন্তজাতিক নৌ-রুট মংলা ঘষিয়াখালী বাঁচাতে হলে চ্যানেলের পূর্ব দিকের মাদারতলা খালের গোড়া থেকে সোজা পশ্চিমে রোমজাইপুর জিগিরমোল¬¬ার পশ্চিম পাশের সংযোগ স্থাপন, দাউদখালী নদীসহ রামপাল ও মংলার সকল সংযোগকারী রেকর্ডীয় খাঁল ও এর উপর অবৈধ বাঁধ এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও খননের বিকল্প নেই। এই চ্যানেল বন্ধের নেপথ্যে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চিংড়ি ও মৎস্য ঘের চাষ। একারনে এলাকার হাজার হাজার মানুষ খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এসব দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আগামী শনিবার সকালে রামপালে ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর বুকে রামপাল উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্নয় কমিটি, রামপাল নদী খাঁল রক্ষা কমিটি, সিডিপি, পিআরভি, বাপাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারনকে নিয়ে মানববন্ধন করা হবে।
বাংলাদেশ-ভারত নৌ-বাণিজ্য প্রটোকলভুক্ত নৌ-পথের মৃত প্রায় মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের প্রায় ২২ কিলোমিটার অংশে খনন কাজ ধীরগতিতে চলছে। গত ৬ মাসে মাত্র চার কিলোমিটার অংশে খনন কাজ করতে পেরেছে বিআইডাবি¬উটিএ কর্তৃপক্ষ। তবে খনন কাজের দরপত্র আহ্বান করার পর দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাতে অংশ না নেয়ায় নদী খনন কাজ বিলম্ব হচ্ছে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে। আন্তর্জাতিক নৌরুটি বন্ধ থাকার ফলে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে ১১০ কি. মি. ঘুরে মংলা বন্দরে চলাচল করতো জাহাজ । এর ফলে সুন্দরবনে দূঘটনা ঘটে।
সুন্দরবনের শেলা নদীতে ফার্নেস অয়েল ট্যাংকার ডুবির পর মংলায় এসে অভ্যান্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবি¬উটিএ) চেয়ারম্যান মো. সামছুদ্দোহা খন্দকার সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, আগামী ৪ মাসের মধ্যে এই চ্যানেলটির ২২ কিলোমিটার অংশের খনন কাজ শেষ করে চ্যানেলটি পুরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে । অন্যদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী মো: শাহজাহান খান বলেছেন, চ্যানেলটিতে খনন কাজ করে নৌযান চলাচল উপযোগী করতে সময় লাগবে এক বছর।

এক সপ্তাহে খননের পর খাল অবোমুক্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাবান চিংড়ি চাষিদের দখলে থাকা মংলা-খাসিয়াখালী চ্যানেলের দু’পাশের সব সরকারী খাল অবমুক্ত করার নির্দেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুস সামাদ ও বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু: শুকুর আলী। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমতাবান চিংড়ি চাষিদের দখলে থাকা সরকারী সকল রেকর্ডীয় খাল সমুহে খনন কাজ শুরু ও খনন শেষে খালগুলো অবমুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার। একই সাথে তিনি, মংলা-খাসিয়াখালী চ্যানেলের খনন কাজে আরও গতি আনতে বিআইডাবলুটিএর চেয়ারম্যানকে আরো ৬টি ড্রেজার দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করতে চিঠি দেবেন বলে তিনি জানান।

পরিবেশবাদীদের অভিমত:
সুন্দরবনের নদী-খালে যে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল তা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না। ক্ষতিকর তেলের ধকল কাটিয়ে কতো পরে নদী-খালে প্রাণের স্পন্দন দেখা যাবে তা বলা দুরূহ। সুন্দরবন বিশেষঞ্জ ও পরিশেবিদ ড: শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের সময়ে শেলা নদীর শাখা-প্রাখায় ছোট পোনা মাছের বিচরণ নেই বললেই চলে। অথচ এই দুর্ঘটনার আগে এসকল নদীতে নৌকা নিয়ে ঢুকলেই ঝাঁক বেঁধে রেণু পোনার দল ছুটে বেড়াতে দেখা যেত। এদিকে জোয়ার-ভাটার টানে সুন্দরবনের নদী-নালা-খালে যাতে তেল আরো ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য বাঁশ, কাঠ ও পলিব্যাগ ব্যবহার করে বুম (পানির ওপর ভাসমান বাঁধ) তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া নদীতে ভাসমান উদ্ভিদ ও তীরে গাছের গোড়া, পাতা ও কাজে লেগে থাকা তেল অপসারণে তিনটি পাম্প মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। নৌকায় মেশিন বসিয়ে নদী থেকে পানি তুলে মোটা পাইপ দিয়ে তা গাছপালার গায়ে ছিটিয়ে তেল পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে। গাছগাছালির গোড়া ও নদী তীরে লেগে থাকা তেল জড়িয়ে নিয়ে ভাটিতে নামে যাচ্ছে কচুরিপানাগুলো।

জুনের মধ্যে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল খনন :
মংলা-খাসিয়াখালী চ্যানেলের খননকাজ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। বুধবার নৌ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন। সভায় জানানো হয়, ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলটি এক কোটি ঘন মিটার মাটি খনন করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ গত জুন থেকে খননকাজ শুরু করেছে। গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫৬ লক্ষ ঘন মিটার মাটি খনন করা হয়েছে। খননকাজে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১৮৭ কোটি টাকা।

৬৫ হাজার লিটার তেল সংগ্রহ:
গত ৭ দিনে সুন্দরবনের শ্যালা নদী ও আশপাশের খাল থেকে সংগ্রহ করা ৬৫ হাজার ৮শ’ লিটার ফার্নেস অয়েল ক্রয় করেছে পদ্মা অয়েল। গত শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থানীয় এলাকাবাসী এ তেল সংগ্রহ করেছে। বন বিভাগের সহায়তায় স্থানীয় মানুষ সনাতন পদ্ধতিতে পানি থেকে তেল আহরণ অব্যাহত রেখেছেন। দেড় শতাধিক নৌকা নিয়ে শ্যালা নদী এবং এর আশ-পাশের খালে ছড়িয়ে পড়া তেল তারা সংগ্রহ করছেন। যেসব মানুষ তেল সংগ্রহ করছে তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০০ জোড়া হ্যান্ড গোল্ভস বিতরণ করেছে বন বিভাগ। যারা তেল সংগ্রহ করবে তাদের এসব গ্লোভস ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সুন্দরবন বিভাগে কন্ট্রোল রুম:
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) স্থাপন করা হয়েছে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ নিয়মিত সব কিছু তদারকি করছে। অপরদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল রয়েছে। বন বিভাগের ডিএফও আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, সহায়তায় স্থানীয় মানুষ সনাতন পদ্ধতিতে পানি থেকে তেল আহরণ অব্যাহত রেখেছেন। দেড় শতাধিক নৌকা নিয়ে শ্যালা নদী এবং এর আশ-পাশের খালে ছড়িয়ে পড়া তেল তারা আহরণ করছেন। বন বিভাগের সহায়তায় স্থানীয় মানুষ ১৫০টি ডিঙি নৌকা নিয়ে শ্যালা নদী ও আশপাশের খালে ছড়িয়ে পড়া তেল সংগ্রহের কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে নৌকার সংখ্যা আরো বাড়ানো হচ্ছে। যেসব মানুষ তেল সংগ্রহ করছে তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০০ জোড়া হ্যান্ড গ্লোভস বিতরণ করেছে বন বিভাগ। যারা তেল সংগ্রহ করবে তাদের এসব গ্লোভস ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে। নদীর পানির রং প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এখন তেল ভাসতে দেখা যাচ্ছে না।

মেডিক্যাল টীম:
পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় ফার্নেস অয়েলের ঘনত্ব বেশী এবং দূষণকারী পদার্থ বেশি থাকে। পানিতে তেলের দূষণ ছড়ালে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শ্রমিকরা যাতে কোনো চর্মরোগে আক্রান্ত না হয় সে লক্ষ্যে তাদের হাতে পরার জন্য দস্তানা সরবরাহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা: মো: বাকির হোসেন জানান, চর্ম রোগ বা’ ঠান্ডাজনিত যে কোন রোগ থেকে কর্মরত শ্রমিক ও এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় সেখানে অতিরিক্ত ম্যাডিক্যাল টীম পাঠানো হয়েছে। ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টীমও সেখানে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

নদীতে কমছে তেল:
শ্যালা নদীসহ ১৮ টি খালে তেল অপসারনে নতুন পদ্ধতি হিসাবে কচুরিপানা ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও আমীর হোসাইন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক লোক সুন্দরবনের নদী-খালের তেল সংগ্রহের কাজ করছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত মানুষের পায়ের চাপে নদী-খাল পাড়ের তেল কাঁদার মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় আরএক ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হবে, যা দীর্ঘ মেয়াদী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। মৃগমারী এলাকায় তেল অপসারণের যুক্ত জয়মনি ঘোলের সালেহা বেগম, গফফার, আল-আমিন জানান, আগেরমত তারা তেল পাচ্ছেন না, নদীর পানিতে এখন আর তেল তেমন নেই। জঙ্গলের পাশ দিয়ে এখন তাঁরা তেল সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস:
সুন্দরবনের শেলা নদীতে তেল সংগ্রহের কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: নাহিদুজ্জামান। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে তেল সংগ্রহ করছে এমন প্রায় আড়াই’শ নারী-পুরুষ শ্রমিকের নামের তালিকা প্রনয়ণ করা হয়েছে। খোজ খবর নিয়ে পর্যায়ক্রমে তেল সংগ্রহকারীদের সকলকেই তালিকাভুক্ত করা হবে। এই তালিকা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেয়ার পর ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা রয়েছে। তবে ত্রাণ হিসেবে কি দেয়া হবে এবং মোট কতজনকে বাছাই করা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

(একে/অ/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test