E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লাগাতার অবরোধ ও হরতালে

বাগেরহাটের টুরিষ্ট ষ্পটগুলো পর্যটক শুন্য

২০১৫ জানুয়ারি ২৮ ১৪:৫৩:০৭
বাগেরহাটের টুরিষ্ট ষ্পটগুলো পর্যটক শুন্য

বাগেরহাট প্রতিনিধি : ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারনে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজসহ বাগেরহাটের টুরিষ্ট ষ্পটগুলোতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর এই সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তসহ নানা বয়সী পর্যটক ও দর্শণার্থীরা এসব দর্শনীয় স্থানে ভিড় জমিয়ে থাকেন। কিন্তু সেসব স্পটগুলোতে দর্শণার্থী শূন্য হয়ে পড়ে আছে। দর্শণার্থী স্পস্টগুলোর আশপাশ এলাকার দোকানপাটগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটন স্পটগুলোর কর্তৃপক্ষরা এখন হতাশার মধ্যে পড়েছে। এদিকে বিশ্ব ঐহিত্য ষাটগম্বুজ পর্যটন এলাকার দর্শণার্থী ও পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ায় সরকার রাজস্ব হারাতে বসেছে।

বুধবার এসব স্পটগুলোতে ঘুরে এই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বাগেরহাটের ওর্য়াল্ড হ্যারিটেজ সাইড ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে ও পিকনিক স্পট পৌর শিশু পার্ক, সুন্দরবন রিসোর্ট এলাকায় এই সময়ে প্রতিদিন দেশ বিদেশের হাজার হাজার দর্শণার্থী ও পর্যটক ভিড় করে থাকেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে প্রাণের ভয়ে অনেকে এখন এখানে আসছেন না। ফলে এসব দর্শনীয় স্থানের মালিক ও দোকানপাট ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে চলতি মৌসুমে টুরিষ্ট স্পটগুলোর মালিকদের ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিরমূখে পড়বেন বলে তারা জানান। তাই তারা দেশের এই রাজনৈতিক সংকট নিরসন করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগুম্বুজ মসজিদে দেশি বিদেশী পর্যটকের আগমন কমে যাওয়ায় ও প্রশ্নত্ত্বাত্ত্বিক বিভাগ প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ফলে চলতি অর্থ বছরে তাদের কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে না বলে তারা আশংকা করছেন।
ষাটগুম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন দোকান মালিক নাজমুল হাসান বলেন, গত বছর এই সময়ে প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার টাকা বেচাকেনা হতো। কিন্তু এবছর দোকান প্রতি এক থেকে দুইশো টাকার বেশি বেচাকেনা হচ্ছেনা। এতে সংসার চালানো দুরুহ হয়ে পড়েছে।
প্রশ্নত্ত্বাত্ত্বিক বিভাগের কাউন্টার ম্যান এনামুল কবির খান বলেন, হরতাল অবরোধের কারনে টিকিট বেচাকেনা কমে গেছে। প্রতিদিন পঁচিশ হাজার টাকার স্থলে কমে নেমে এসেছে তিন হাজার টাকায়।
পৌর শিশু পার্ক মালিক আকমল উদ্দিন সাখী বলেন,‘হরতাল অবরোধের কারনে দর্শনার্থীদের সমাগম ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে কর্মচারীদের বেতনের টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তিনি এই অবস্থার অবসান চেয়ে বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে ব্যাবসা গুটিয়ে দিতে হবে।
সুন্দরবন রির্সোট ম্যানেজার ওয়াশিংটন বলেন, হরতাল অবরোধের কারনে দর্শনার্থীদের সমাগম নেই। আমরাও কিভাবে চলবো ও কর্মচারীদের বেতন কিভাবে দিব হতাশার মধ্যে আছি।
প্রশ্নত্ত্বাত্ত্বিক বিভাগের ষাটগম্বুজ কাষ্টোডিয়ান মো: গোলাম ফেরদৌস বলেন,‘ গত বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আয় হয়েছিল। এবছর ৩০ লক্ষ টাকা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১০-১২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হত। কিন্তু লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারনে এবছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
(কেকে/পিবি/জানুয়ারি ২৮,২০১৫)




পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test