E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সংকটে শেরপুর জেলা হাসপাতাল : প্রয়োজন চিকিৎসক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন

২০১৪ মে ১১ ১৫:৪৯:২৭
সংকটে শেরপুর জেলা হাসপাতাল : প্রয়োজন চিকিৎসক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন

শেরপুর প্রতিনিধি : চিকিৎসক সংকট, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব ও অবকাঠামোগত সুবিধার অভাবে শেরপুর জেলা হাসপাতাল যেন এখন নিজেই রোগী হয়ে গেছে। ফলে রোগীদের অত্যধিক চাপ সামলাতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তদুপরি কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার অভাব এবং চাহিদার অনুপাতে কম ওষুধ সরবরাহের ঘটনাতো রয়েছেই। হাসপাতাল ভবনের ভিতরে অপর্যাপ্ত আলো, ঘিঞ্জি পরিবেশ, নিম্নমানের শৌচাগার ব্যবস্থা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের আরো কাহিল করে দিচ্ছে। ফলে গরিব ও দুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার প্রধান ভরসাস্থল শেরপুর জেলা হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট থাকায় সাধারণ মানুষ কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যারা কারণে হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পদে পদে নানামুখী দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ অবস্থার দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, চিকিৎসকদের মধ্যে দলীয় রাজনীতির লেজুরবৃত্তি প্রকট হয়ে ওঠায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অকারনে প্রভাব খাটিয়ে বিশেষ সুবিধা আদায় শেরপুর জেলা হাসপাতালে এখন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মধ্যে এক ধরনের ‘ড্যাম কেয়ার’ ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জরুরী বিভাগেও কর্তব্যরত চিকিৎসকের সামনে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের বসে আলাপ-আলোচনায় মত্ত দেখা যায়। তাছাড়া শেরপুর জেলা হাসপাতালে সার্টিফিকেট বানিজ্য এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট। রাজনৈতিক পরিচয় আর নগদ নারায়ন বিনিময় মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়ার বড় কারণ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সাথে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া কিছু কর্মচারীও জড়িত। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। বরং চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই এসব অভিযোগ করা হয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, শেরপুর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৩৫ সালের প্রথম ১০ শয্যার ‘হরচন্দ্র হাসপাতাল’ দিয়ে সরকারী চিকিৎসা সেবার কার্যক্র শুরু হয়। পরে ১৯৫২ সালে হাসপাতালের স্থান পরিবর্তন করে শহরের নারায়নপুর এলাকায় বর্তমান স্থানে ৩১ শয্যার শেরপুর মহকুমা হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮০ সালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে পর্যায়ক্রমে ১২৮ জনবল নিয়ে ৫০ শয্যার শেরপুর সদর হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। ২০০৩ সালে শেরপুর সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় রূপান্তরের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয় এবং ২০০৭ সালে ৫০ শয্যা রাজস্ব ও বাকি ৫০ শয্যা উন্নয়নখাতে দেখিয়ে ১০০ শয্যার শেরপুর জেলা হাসপাতালের ঘোষণা আসে সেই ১২৮ জনের জনবল রেখেই। হাসপাতালের পরিধি বাড়ানো হলেও বাড়ানো হয়নি এর জনবল। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে একনেক বেঠকে সারাদেশে ১১টি জেলা হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে শেরপুর জেলা হাসপাতালকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৫০ শয্যায় রূপান্তরের প্রস্তাব পাস করা। ইতোমধ্যে মাটি পরীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। এখন চলছে ড্রইং, ডিজাইন ও বিল্ডিং এলিভেসন তৈরীর কাজ।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের প্রধান সহকারি মো. সজল মিয়া জানান, ১২৮ জনের জনবলের মধ্যে চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ৩৬ টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৮ জন, বাকি পদগুলো শূণ্য। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কাগজে-কলমে কর্মরত ১৮ জন চিকিৎসকের নাম থাকলেও এর মধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট (নাক-কান-গলা) ড্যাব নেতা ডা.আক্তার আহমেদ চৌধুরী ২০০৮ সালে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন কর্মস্থলে না থাকার কারনে ডা. আক্তার আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ১/১১ সময় জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো.) ডা. আব্দুর রশিদ ছুটি নিয়ে হাসপাতালের বাইরে রোগী দেখার অভিযোগে তিনি বরখাস্ত হন। অপরদিকে, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন) ডা.জেসমিন আক্তার লীনা গত ২০১৩ সালের নভেন্বর মাসে যোগদানের পর থেকে বেতন ভাতা না নিয়ে এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রকৃত কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা রয়েছে ১৫জন। এছাড়াও ৪২ জন নার্সের মধ্যে একটি পদ শূণ্য, ৫জন সহসেবকের মধ্যে ৪টি পদ শূণ্য, ১০ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদের বিপরীতে একটি পদ শূণ্য, ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীর ১৮টি পদের বিপরীতে ২টি এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ২২টি পদের বিপরীতে একটি পদ শূণ্য রয়েছে।
সরেজমিন গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) শেরপুর জেলা হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরুষ, মহিলা, গাইনী ও শিশু ওয়ার্ডের ভিতরের পরিবেশ পর্যাপ্ত আলোর অভাবে অনেকটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন। ওয়ার্ডগুলোর ভেতরে- বাইরে-মেঝেতে রোগী ভর্তি। যেসব ভর্তি রোগীরা বিছানা বরাদ্দ পাননি, তারা ওয়ার্ডের মেঝে-বারান্দার করিডোরে গাদাগাদি করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে কর্মরত নার্স সীমা ও আঞ্জুমানারা জানান, পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ১৮ টি। কিন্তু এর বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হলো ৬৮ জন। শিশু ওয়ার্ডে সিট হচ্ছে ১২ টি আর রোগীর সংখ্যা ৮১। এভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকায় ওয়ার্ডের বাইরে ও ভিতরে গাদাগাদি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরো জানান, ১০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ২৮০ জন রোগী ভর্তি থাকে।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নার্স অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে কখনোই ‘ভিজিটিং আওয়ার’ (রোগীর আত্মীয়স্বজনের দেখা করার সময়) মানা হয়না। আমরা এমনিতেই রোগীর চাপে কোনঠাসা হয়ে থাকি, তাছাড়া একেকজন রোগীর সাথে আসা প্রায় ১০/১২ জন আত্মীয়-স্বজনের বহর। কিছু কিছু সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের পরিচিত রোগীদের ব্যাপারে ‘এক্সট্রা’ খেয়াল রাখার কথা বলেও বিরক্ত করতে থাকেন। অপরদিকে, হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, সারা বছরের জন্য প্রায় ২৬০ টি আইটেমের ওষুধ সরবরাহের চাহিদাপত্র দিলে সরবরাহ করা হয় ৫০ থেকে ৬০ টি আইটেমের ওষুধ। সেই সাথে প্রতিটি আইটেমের বিপরীতে চাহিদার এক থেকে দুই ভাগ ওষুধ কম দেওয়া হয়।
হাসপাতালে সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিভিন্ন ওয়ার্র্ডের শৌচাগারের এখানে-সেখানে পানের পিক, উচ্ছিষ্ট ভাত, কফ-কাশ ইত্যাদি। মোট কথা সেখানে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। কোন কোনটির শৌচাগারের সিটকিনি পর্যন্ত খোঁজে পাওয়া যায়নি। কখনো রোগীরা শৌচাগারের ভিতরে ঢুকলে তার তত্ত্বাবধানকারিকে বাইরে থেকে দরজায় পাহারা দিতে দেখা গেছে। এদিকে, রোগীদের আউটডোরে প্রতিদিন কি পরিমান রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এ প্রশ্নের জবাবে দায়িত্বে নিয়োজিত নজরুল ইসলাম বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ রোগীর কাছে আমরা টিকিট বিক্রি করি।
জানা যায়, শেরপুর জেলা হাসপাতালে জেলার অপর চারটি উপজেলা নালিতাবাড়ী, নকলা, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ছাড়াও ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার জন্য পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও বকশিগঞ্জ উপজেলা এবং কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এত অল্প পরিসরে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র ১৫ জন ডাক্তার। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত হাতেগুনা কিছু ডাক্তার ছাড়া অধিকাংশ ডাক্তারই তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেননা।
শেরপুর জেলা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর গ্রামের আকলিমা বেগম হাসপাতালের মেঝেতে বসে নিজ ছেলেকে বুকে আগলে রেখে বিলাপ করছিলেন। একটু সামনে এগিয়ে তার সাথে কথা বলতেই তিনি হাউমাউ করে কন্নাকাটি করে বলেন, আমার আড়াই বছরের শিশু বাচ্চা কবির ধান সিদ্ধ করার কড়াইয়ে পইড়া গিয়ে পা-বুক ও হাত গরম পানিতে ঝলসাইয়া গেছে। ভোর বেলাত হাসপাতালে আইছি, নার্সে আইহা পুলাডারে একটা স্যালাইন লাগাইয়া দিয়া গেছে এহন বেলা দুইটা বাজে কোন ডাক্তর আইলনা। এ রকম অবস্থা পুরুষ ওয়ার্ডেও। জানা গেল ওই সময়ে ডিউটি ছিল ডা.সারোয়ারের (ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র কনসালন্টেট)। কিন্তুু তখনও পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে এসে পৌঁছাননি। সূত্র জানায়, ডা. সারোয়ার সপ্তাহের শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কর্মস্থলে কোন রকমে দায়িত্বপালন করেন এরপর তিনি চলে যান রাজধানী ঢাকাতে। অপরদিকে, সদর উপজেলার চরমুচারিয়া থেকে আসা রোগী আজমত আলী চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মোশাররফ হোসেনকে (জুনিয়র কনসালন্টেট চক্ষু) হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তার চেম্বারে না পেয়ে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করতে থাকেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল ৯ টার থাইক্কা টিকিট কাইটা এহানে দাঁড়াইয়া আছি বেলা বাজে আড়াইটা ডাক্তারের দেহা পাইতাছিনা।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তার যথাসময়ে অফিসে আসেন না। তারা হাসপাতালের চাইতে বাইরে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে চেম্বার করে রোগী দেখতে বেশি পছন্দ করেন। হাসপাতালের সামনের কয়েকটি ওষুধের দোকানে তারা চেম্বার খুলে সকাল-বিকাল রোগী দেখে থাকেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরিজীবী কয়েকজন চিকিৎসক মিলে নিজেরাই আবার শেরপুরে বেসরকারী হাসপাতালের নামে ক্লিনিক খুলে বসেছেন। সেখানে রোগীদের সেবা দিতেই তারা বেশী স্বচ্ছন্দবোধ করেন।
জেলা হাসপাতালে নানা সংকটের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নারায়ন চন্দ্র দে বলেন, জেলা হাসপাতালে পয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের ঘাটতি থাকলেও আমরা সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দিতে চেষ্টা করছি। হাসপাতালে প্রতিদিন ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকছে এবং আউটডোরেও অনেক রোগী সেবা নেওয়ার জন্য আসছে। যে কারণে কর্মরত চিকিৎসকদেরকেও অনেকক্ষেত্রে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আশার কথা ইতোমধ্যে সরকার জেলা হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল কার্যক্রম চালু হলে চিকিৎসক ও অবকাঠামো সমস্যা কেটে যাবে। এলাকার মানুষ আরো উন্নততর স্বাস্থ্যসেবা পাবে। তিনি সার্টিফিকেট বানিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা অপপ্রচার।
শেরপুর জেলা হাপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক সম্প্রতি শেরপুর জেলা হাসপাতাল মিলনায়তনে হাসপাতালে উন্নয়ন ও রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি নিয়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন। ওই সভায় তিনি জানান, শেরপুর জেলা হাসপাতালকে আধুনিক ২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করার জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এর অবকাঠামে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আশাকরি এর ফলে জেলাবাসীর সরকারী চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ আরো অনেক বাড়বে।
(এইচবি/এএস/মে ১১, ২০১৪)




পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test