E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুষ্টিয়ায় হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ নদী তীরবর্তী ৬টি গ্রাম

২০১৫ মার্চ ১৫ ১৭:৪০:১৫
কুষ্টিয়ায় হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ নদী তীরবর্তী ৬টি গ্রাম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে অবাধে বালি উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ নদী তীরবর্তী গ্রামবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে ও তার তত্ত্বাবধানে ফিরোজের নেতৃত্বে একটি চক্র পদ্মা নদী থেকে অবাঁধে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
নদীর পাড় ও কোল ঘেষে বালি উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী ফিলিপনগর, বৈরাগীরচর, গোলাবাড়ি, বালিরদিয়াড়, কোলদিয়াড়, মাজদিয়াড় ও কান্দিরপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে।

সেই সাথে হুমকির মুখে পড়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভুক্তভোগী ও আতংকগ্রস্ত গ্রামবাসীদের অভিযোগ যেভাবে অবাধে ও অবৈধভাবে ট্রাক ভর্তি করে বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে তাতে করে এবারের বন্যা মৌসুমে পদ্মার ভাংগন তীব্র আকার ধারন করবে এবং রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ অসংখ্য বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যার কারণে তাদের নিজেদের বাঁচতে এবং ঘর-বাড়িসহ অসংখ্য বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষার্থে অবৈধ বালি উত্তোলন জরুরী ভিত্তিতে বন্ধের প্রয়োজন।

এদিকে বালি উত্তোলনকারী প্রভাবশালী মহলকে জনস্বার্থে বালি উত্তোলন করতে নিষেধ করা হলে তারা উল্টো গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়েছে। ফলে ভীতসন্ত্রস্থ গ্রামবাসী অবাধে ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে এবং পদ্মার ভাংগন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নিজেদের ঘর-বাড়ি রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মৌসুম ও তার আগের মৌসুমে একইভাবে বালি উত্তোলন করা হলে পদ্মার তীব্র ভাংগনে জলবায়ু ট্রাষ্টের প্রায় ২৩ কোটি টাকা জলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হলে সে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তাই ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করে এলাকার হাজার হাজার গ্রামবাসীকে পদ্মার ভয়াবহ ভাংগন থেকে রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ জরুরী।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নৈমুল ইসলাম জানান, দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ নদী তীরবর্তী গ্রামবাসী। এ ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমুল হক পাভেল জানান, বালি উত্তোলন করলে সেটি অন্যায় হবে। তবে যারা এ কাজ করছে তাদের আটক করতে অভিযান চালানো হবে।

(কেকে/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test