E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চিকিৎসকদের ধর্মঘট ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছে ক্যাব

২০১৪ মে ১৪ ১৫:২২:১১
চিকিৎসকদের ধর্মঘট ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছে ক্যাব

সংবাদ বিঞ্জপ্তি : ঢাকা, রাজশাহী ও দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে রোগীদেরকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের ধর্মঘট, কর্মবিরতি, হাসপাতালে জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে রত রোগীদের অবর্ননীয় কষ্ঠে দিনযাপনে বাধ্য করা আবার সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা, হাসপাতালে রোগীদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শিশির মোডলকে রাজধানীর সিকদার মেডিকেল কলেজে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কমিটি।

সাম্প্রতিক কালে দেশে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অযুহাতে হাসপাতালে রোগীদেরকে জিম্মি করে কর্মবিরতি, ধর্মঘট ও সংবাদ সংগ্রহকালে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করে সাধারন রোগীদেরকে জিম্মি করে দাবী আদায়ের ঘটনা জাতিকে হতাশ করেছে। কারন চিকিৎসরা একটি মহৎ পেশায় নিয়োজিত এবং মানুষের জীবন বাঁচা-মরার মতো একটি অতি জনগুরুত্বপুর্ন কাজে নিয়োজিত, সেখানে এ ধরনের অনৈতিক আন্দোলন ও সন্ত্রাসী আচরণ কোন ভাবেই হতে পারে না এবং এটাকে কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন এমনিতেই সরকারী হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে ভোগান্তির কোন শেষ নেই। ভোগান্তির প্রতিকার জানানোর কোন সুনিদিষ্ঠ সহজ উপায় নেই। আবার তার উপর দুর্নীতি, অনিয়ম, রোগী হয়রানি, দালাল, প্রাইভেট ক্লিনিক, ল্যাবরেটরীর পরীক্ষা নিরীক্ষা ইত্যাদি অনিয়মের কারনে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। সাধারন রোগীরা সরকারী হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মরতে মরতে প্রাইভেট ক্লিনিকে যায়, শুধুমাত্র প্রাণের মায়ায়, আর উপরি পাওনা না দিলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা যেন সোনার হরিন। সরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি অন্যতম জনগুরুত্বুপুর্ন সেবা প্রতিষ্ঠান হলেও ভুক্তভোগীদের কোন অভিযোগ জানানোর কোন উপায় নেই। ক্যাব থেকে হটলাইন সার্ভিস ও অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বারংবার দাবী করা হলেও প্রশাসন সেটা আমলে নেয়নি। অধিকন্তু হাসপাতালের পরিচালনা কমিটিতে ভোক্তাদের কোন প্রতিনিধি নেই। যারা আছেন তারা সব্ইা সুবিধাভোগী ও কিছু সরকারী আমলা।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে অবিলম্বে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী সেবা সার্ভিসগুলিকে সত্যিকার অর্থে জনমুখী, সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে কার্যকর সুশাসন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। এখানে অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন, হটলাইন সার্ভিস এবং ব্যবস্থাপনায় ভোক্তা প্রতিনিধির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও সেবার মান পরিবীক্ষনে নাগরিক পরিবীক্ষন কমিটি গঠন করা, রোগী ও স্বার্থসংস্লিষ্ঠদের নিয়ে নিয়মিত সংলাপ আয়োজনের বিকল্প নেই।
নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শিশির মোডলকে রাজধানীর সিকদার মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে কার্র্ডিয়াক বিভাগের প্রধান শফিউল আজম সাক্ষাৎকার প্রদানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে চিকিৎসকদের মহান পেশায় নিয়োজিত কিছু অপেশাদার ও সন্ত্রাসী আচরনে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। একই গণমাধ্যম কর্মীদের উপর এভাবে সন্ত্রাসী হামলার বিচার না হলে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সাধারন জনগনের অধিকার পুরোপুরি ভুলন্টিত হবে। কারন জনগনের মানবাধিকার সুরক্ষা, অনিয়ম বন্ধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্যতম রক্ষাকবজ এখন গণমাধ্যম। তাদের উপর হামলা হলো সাধারন জনগনের আর কোন বিকল্প উপায় থাকবে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কার্যকরী পর্ষদ সদস্য এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক চেয়ারপার্সন কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর শাখার সভানেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, সদস্য সচিব অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব নেতা অধ্যক্ষ দবির উদ্দীন খান, আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী, ফজলুল গনি মাহমুদ, হাজী ইকবাল আলী আকবর, আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, অধ্যাপক শাহনেয়াজ আলী মির্জা, আবিদা আজাদ, রাশেদ খান মেনন, উম্মে কুলসুম আরজু, হাজী আবু তাহের, উপাধ্যক্ষ কুতুব উদ্দীন, শিক্ষক নেতা লকিয়ত উল্লাহ, অঞ্চল চৌধুরী, শাহাদৎ হোসেন, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব নেতা জানে আলম, তৌহিদুল ইসলাম, অঞ্চল চৌধুরী, শাহাদত হোসেন, দেলুয়ার হোসেন, হারুন গফুর ভুইয়া, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, মোনায়েম বাপ্পী, কাজী সমিতির নেতা ইউসুফ চৌধুরী, নারী নেত্রী সায়মা হক, দীপিকা বড়ুয়া, শাহনাজ পারভীন লুনা, রুখসানা আখতারুন্নবী, রেজিয়া বেগম, অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, মো. নুরুল হক প্রমুখ।

(এএস/মে ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test