E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো চার ক্যাটাগরিতে রেটিংভুক্ত হবে 

২০১৭ ডিসেম্বর ০৬ ১৬:৪৪:৩৫
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো চার ক্যাটাগরিতে রেটিংভুক্ত হবে 

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার মান বাড়াতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোকে রেটিংভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রেটিং করা হবে। এরপর সেই তালিকা প্রকাশ করবে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর। নিয়ন্ত্রকারী এ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অশোক কুমার বিশ্বাস জানান, সারাদেশে ৭ হাজারের বেশি কারিগরি প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোয় কী শেখানো হয় বা শিক্ষার মান কেমন কিংবা কতটা আইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ‘ডিজিটাল-মনিটরিং ব্যবস্থা’ প্রবর্তনের চিন্তা করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ রেটিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, পলিটেকনিক সংশ্লিষ্ট ১৮টি দিক মূল্যায়নে আসবে এ রেটিংয়ে। এগুলো হচ্ছে- প্রতিষ্ঠানের সাধারণ তথ্য, জমির পরিমাণ, ভবনের জায়গা, অবকাঠামোগত সুবিধা, ল্যাবরেটরি ওয়ার্কশপ, ফার্নিচার, প্রতিষ্ঠানের তহবিল, বিদ্যুৎ সুবিধা, শিক্ষক-কর্মচারী। আরও আছে- প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি, অষ্টম সেমিস্টারের ফলাফল, ধারাবাহিক মূল্যায়নের তথ্য, কো-কারিকুলাম অ্যাকটিভিটি, পরিবেশিক মতামত, প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা, প্রকাশনা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ইনস্টিটিউট মনিটরিং কার্যক্রম।

জানা গেছে, বর্তমানে ৪৯টি সরকারি ও ৪৬৬টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৩৬ বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেয়া হয়। আইন ও বিধি বিধান অনুযায়ী মানসম্মত ডিগ্রি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে উল্লিখিত ১৮টি শর্ত প্রতিপালন করতে হয়।

সম্প্রতি ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে সরকার ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়েছে। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে স্বল্পমেয়াদি (৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর) কোর্স পরিচালনার জন্য। অবকাঠামো, ল্যাবরেটরি, শিক্ষক ইত্যাদি নিয়োগ ও সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে স্বল্পমেয়াদি কোর্সের বিষয়টি সামনে রেখেই। এ ধরনের অবকাঠামোতে ৪ বছর মেয়াদি ডিগ্রির লেখাপড়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে উচ্চ আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, রেটিংয়ে ১৮টি পয়েন্টের প্রত্যেকটিতে ১০ নম্বর থাকবে। সব মিলিয়ে ১৮০ নম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যায়ন করা হবে। এরপর সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের পজিশন নির্ধারণ করা হবে।

অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল তিনটি ক্যাটাগরি করা হবে। ৮০ শতাংশ বা এর বেশি নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠান থাকবে এ ক্যাটাগরিতে। ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বরপ্রাপ্ত থাকবে বি-তে। এর কম নম্বরপ্রাপ্তরা থাকবে সি-তে।’

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। কারিগরি শিক্ষা কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি হলে সবচেয়ে লাভবান হবে কারিগরি শিক্ষা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিশ্চয়ই ভালো মানের প্রতিষ্ঠান ভর্তির জন্য বেছে নেবে। ওই পরিস্থিতিতে যখন কোনো প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী পাবে না, তখন তারা ভালো করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। এ প্রক্রিয়া কারিগরি শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটবে।’

(ওএস/এসপি/ ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test