E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রশ্নফাঁস আতঙ্কে শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা

২০১৯ জানুয়ারি ২৩ ১৪:৩১:১৯
প্রশ্নফাঁস আতঙ্কে শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এবার বেশি তৎপরতা অবলম্বন করবে তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রশ্নফাঁসের দায় আগে ভাগেই শিক্ষা বোর্ডগুলোর দেয়ায় আরও বেশি কঠোরতা ও গোপনীয়তা অবলম্বন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দায় এড়াবার প্রচেষ্টা নয়, পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্রসহ পুরো বিষয়টির নিরাপত্তার দায়িত্ব শিক্ষা বোর্ডের। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের কাজ কো-অর্ডিনেশন করা। প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু সব সময় দেখা যায়, প্রশ্নফাঁস হলেই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে আঙুল ওঠে। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব সুস্পষ্ট ও আলাদা।’

একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার আগে থেকেই তৎপর তাদের কর্মকর্তারা। তবে মন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পর শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষা চলাকালে বাড়তি সতর্ক ব্যবস্থা হাতে নেবে, কঠোর নীতি অবলম্বন করবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, এবার তার চেয়েও ভিন্ন কিছু কৌশল আমরা নিয়েছি। এবারও প্রশ্নফাঁস হবে না বলে আশা করি। শিক্ষা বোর্ডগুলো এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক অবলম্বন করছে।’

তিনি বলেন, ‘এবার প্রশ্নপত্রের সেট অনেক বেশি। জেএসসি থেকে আমরা এ পরিবর্তন আনা শুরু করেছি।’এবার কত সেট ছাপা হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য কাউকে জানাবো না।’

এদিকে, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার সিকিউরিটি টেপ ব্যবহার না করে আরও আধুনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘ফাঁস রোধে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারের খামে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে প্রতিটি কেন্দ্রে। খাম খোলা হলে ধরা পড়তে হবে।’

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার আগেই জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বরে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশ্ন সেট জানিয়ে দেয়া হবে। সেই অনুযায়ীই কেন্দ্র সচিবদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র।

সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে উল্লে করে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। প্রয়োজনে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি জানান, প্রশ্ন প্রণয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয় পরীক্ষা শুরুর পাঁচ থেকে ছয় মাস আগেই। শিক্ষা বোর্ডগুলোর নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক বাছাই করে ৬৪ জন মডারেটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ৬৪ সেট প্রশ্ন তৈরির পর তা বাছাই করে নির্দিষ্ট সেট বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মডারেটররা আলাদা আলাদাভাবে প্রশ্ন চূড়ান্ত করার পর সিলগালা করে বোর্ডের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। সিলগালা অবস্থায়ই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কছে। অন্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানতে পারবেন না কোন সেট ছাপা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test