E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিক্ষা সপ্তাহে পেছাল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

২০১৯ মার্চ ০২ ১৮:৩২:১৯
শিক্ষা সপ্তাহে পেছাল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা সপ্তাহের জন্য আবারও পিছিয়ে গেলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। শতভাগ প্রস্তুতি থাকলেও আগামী ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় ১৫ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। আবেদনকারী বেশি হওয়ায় কয়েকটি ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার প্রস্তুতি শুরু করা হয়। এ পরীক্ষার জন্য আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও আগামী ১৩ মার্চ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় তা আবারও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী এদিন সময় দিতে না পারায় তা পিছিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়ায় আগামী ১৩ মার্চ তা পালনের প্রস্তুতি চলছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন।’

কবে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হবে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপাতত শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজন নিয়ে সবাই ব্যস্ত রয়েছে। এ অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রণালয়ের সভা করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।’

তবে মার্চের শেষে অথবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ১৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হবে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ। ‘প্রাথমিক শিক্ষার দীপ্তি উন্নত জীবনের ভিত্তি’এ স্লোগানে এবার পালিত হবে শিক্ষা সপ্তাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের অধিনস্থ দফতর-সংস্থার কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এদিকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮’ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু করতে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষা আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ডিপিইতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে তা পিছিয়ে মার্চে নেয়া হয়।

জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষা আয়োজনের আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে।

ডিপিইর কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশে ১২ হাজার পদে ২৪ লাখের বেশি আবেদনকারী হওয়ায় এবার প্রথমবারের মতো লিখিত পরীক্ষা কয়েকটি ধাপে আয়োজন করা হবে। তবে এবার একসঙ্গে সব জেলার ফল প্রকাশ করা হবে না। যে জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেখানে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে আগেই মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এভাবে যে জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে পর্যায়ক্রমে আগেই মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ যাতে একই সেট না পায় সে জন্য এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব দেয়া হবে। সেন্ট্রাল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝে দেবেন কেন্দ্র সুপার।

মহাপরিচালক মনজুর কাদির বলেন, ‘স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যদি কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত হয় তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাকে বহিষ্কার করে সেই প্রার্থীর খাতা বাতিল করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে আমরা বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছি। সেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর সিট বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ০২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test