E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রাথমিকে বৃত্তি পেল সাড়ে ৮২ হাজার

২০২০ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১৬:৫৮:৩৯
প্রাথমিকে বৃত্তি পেল সাড়ে ৮২ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৯ এর ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনীর বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ফল প্রকাশ করেন তিনি। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে আগে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০১৫ সাল থেকে ৮২ হাজার ৫শ শিক্ষার্থী এ সুযোগ পাচ্ছে।

এবার ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী, যা আগে ছিল ২২ হাজার। সাধারণ কোটায় পাবে ৪৯ হাজার ৫শ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার জন। যারা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাবে তাদের ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।

উপজেলা/থানার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ করা হয়।

এবার মোট ৮ হাজার ২৪টি ইউনিয়ন/পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) হিসেবে ৪৮ হাজার ১৪৪টি এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ৩৫৬টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা/থানায় আরো ২টি (১ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী) করে ৫১১টি উপজেলা/থানায় ১ হাজার ২২টি সাধারণ এবং আরো অবশিষ্ট ৩৩৪টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি জেলায় আরো ৪টি (২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী) করে ৬৪টি জেলায় ২৫৬টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও ২০১৫ সাল থেকে বাড়ানো হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুলো বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২শ টাকা করে দেওয়া হলেও ২০১৫ থেকে ৩শ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি দেওয়া হয়। সব শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্র নিতে পারে।

আগে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছু সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না বিধায় তারা বঞ্চিত হতো। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বর্তমানে প্রতিবছর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। সমাপনী পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের স্বার্থে মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ কোটাভিত্তিক উপজেলা/থানা ওয়ারী ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও পৌরসভা ওয়ার্ড/ইউনিয়ন ওয়ারী সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test