E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিদ্যালয় খুললে একেক দিন একেক শ্রেণির পাঠদান

২০২০ সেপ্টেম্বর ০৯ ১৮:১৪:১২
বিদ্যালয় খুললে একেক দিন একেক শ্রেণির পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানে বড় পরিবর্তন আসবে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনা করে সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির পাঠদান করাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

পুনরায় বিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে বিদ্যালয় খোলার আগে নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিপিই) সকল বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা পাঠাতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বিদ্যালয় পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হলে নিরাপদ এলাকা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক বিদ্যালয় চালু করা যেতে পারে। করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় কোনো এলাকাকে সরকার ‘রেড জোন’ ঘোষণা করলে সেই এলাকায় বিদ্যালয় খোলা রাখা যাবে না। বিদ্যালয় কার্যক্রম পুনরায় চালু করার আগে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

নিদের্শনায় বলা হয়েছে, বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণুমুক্তকরণ, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাতা ধোয়া, হাঁচি-কাশি বিষয়ক শিষ্টাচার, সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবহার, অসুস্থদের জন্য করণীয় এবং নিরাপদ খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার অভ্যাস গড়ে তুলতে নির্দেশনা সংবলিত পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। হাত ধোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার স্থাপন বা সম্প্রসারণ করতে হবে। মেয়েদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিদ্যালয় খোলার আগে অবশ্যই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণসহ শ্রেণিকক্ষ, অফিসকক্ষ ও টয়লেটগুলো স্বাস্থ্যসম্মত ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় জীবাণুনাশক, সাবানসহ অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা উপকরণ সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরের আবর্জনা পরিষ্কার ও আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আর পাঠ পরিকল্পনায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অসুস্থ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারী শিক্ষককে বিদ্যালয় আসতে হবে না। বিদ্যালয় কার্যক্রমের শুরু, শেষ এবং মিড ডে মিলের কর্মসূচি এমনভাবে সাজিয়ে নিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জটলা তৈরি না হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের তাপমাত্রা মাপতে হবে। এ জন্য বিদ্যালয় খোলার আগেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক নন-কন্টাক থার্মোমিটার সংগ্রহ করতে হবে। যাদের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে হবে। স্বাভাবিক অবস্থা না আসা পর্যন্ত কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ জমায়েত আয়োজন করা যাবে না। বিদ্যালয় চলাকালীন অত্যাবশ্যক না হলে কেউ বাইরেও যাবে না।

এছাড়া কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং যারা তার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের দ্রুত শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যাতে অভিভাবকসহ স্থানীয় মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে।

তবে বিদ্যালয় কবে খুলবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test