E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাধ্যমিকে পদোন্নতি পাচ্ছেন ৬ হাজার শিক্ষক

২০২০ ডিসেম্বর ০৫ ২২:১১:১৭
মাধ্যমিকে পদোন্নতি পাচ্ছেন ৬ হাজার শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতির মধ্য দিয়ে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। ছয় হাজারের অধিক শিক্ষক এ পদোন্নতি পেতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৩০ নভেম্বর সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১ ডিসেম্বর অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ তালিকায় ৬ হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষে বিশাল সংখ্যক পদোন্নতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যা হবে মুজিববর্ষের বিরাট অর্জন। ইতোমধ্যে কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, মুজিববর্ষে পদোন্নতি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই কালক্ষেপণ করতে চাই না। এরই মধ্যে আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে।

সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে কর্মরত ১০ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষক এই পদোন্নতিতে যুক্ত হবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ পদোন্নতির ফলে শিক্ষকদের কোনো আর্থিক সুবিধা না বাড়লেও সামাজিকভাবে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া পদোন্নতির এ জট খুললে মাধ্যমিকের উপরের বিভিন্ন পদায়নও সম্ভব হবে।

বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কারণে এখনো অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে যেতে পারে। এছাড়া ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) না থাকার শর্ত লঙ্ঘন, সমন্বিত মেধাতালিকা না থাকার কারণে কীভাবে পদোন্নতি দেয়া হবে তা নিয়ে অনেক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন।

এ বিষয়ে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন মাহমুদ সালমী বলেন, বিধিবিধান মেনে অর্থাৎ ২০১৮ সালে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে সে পদ্ধতি অনুসরণ করে পদোন্নতি দিলে কারো কোনো অভিযোগ থাকবে না।

জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ত্রুটি দেখতেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। শিক্ষকরা চাইলে অনলাইনে তাদের মতামত বা লিখিত অভিযোগ করে আমাদের জানাতে পারবেন। বিধিবিধান অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খসড়া তালিকা সংশোধন করা হবে এবং তা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test