E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইবি ট্রেজারারের নিয়োগ ফাঁদ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১৯ ১১:৫৩:১৫
ইবি ট্রেজারারের নিয়োগ ফাঁদ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার নিজস্ব  জনবল নিয়োগ দিতে নয়া ফাঁদ তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নয়া ফাঁদের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ৫ জনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবৈতনিক কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্সের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ট্রেজারার ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব জনবল নিয়োগ দিতে ফাঁদ তৈরি করেছেন। যার মাধ্যমে তিনি অনেককে চাকরি দেওয়ার সুযোগ নেবেন। এজন্য তিনি অবৈতনিকভাবে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে প্রথম অবস্থায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ৫ জনকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। তারা হলেন, শেফালী, ডেভিড, নাজিম, সাইক ও কালাম। তাদের মধ্যে ৩ জন দীর্ঘ ৪ মাস ধরে কাজ করছেন এবং বাকি ২ জন ১ মাস যাবৎ কাজ করা শুরু করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্স অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিকের এভাবে কাউকে কাজ করার সুযোগ দেয়ার এখতিয়ার নেই। তবুও তিনি ৫ জনকে অবৈতনিকভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আর এ সুযোগ দেয়াকেই নিয়োগ ফাঁদ বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন মহল।

সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবি, যেহেতু ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্স ভঙ্গ করেছেন, সেহেতু প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হোক। কেননা পরবর্তী চাকরি না পেলে চাকরির দাবিতে তারাই ক্যাম্পাস অচল, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন আন্দোলন করবে।

এদিকে লাইব্রেরি থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বই হারিয়ে যাওয়ার পিছনে বেতনহীন এসব কর্মচারীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, অনতিবিলম্বে ওইসব কর্মচারীদের লাইব্রেরি থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।

নিয়োগ ফাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করে ইবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন বলেন, বছরখানেক যাবৎ তারা আমার কাছে চাকরির জন্য ধর্ণা দিচ্ছে। তাছাড়া লাইব্রেরিতে জনবল সঙ্কট থাকায় আমি ৩ জনকে অবৈতনিকভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছি। অন্য ২ জন কীভাবে এল তা আমার জানা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত কাজ।

(কেকে/এনডি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test