E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গবেষণা প্রতিবেদন

ফেল করা ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মায়ের নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৯ ১৭:২৮:৩৫
ফেল করা ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মায়ের নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার : মায়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সন্তানের পড়ালেখা ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। যেসব মা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছেন, তাদের সন্তানের চেয়ে শিক্ষা না পাওয়া মায়ের সন্তানদের ফেল করার হারও বেশি। ফেল করা শিক্ষার্থীর ৩৪ শতাংশের মায়েরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। শিক্ষিত নন- এমন মায়েদের ৮ দশমিক ২ শতাংশ সন্তান সবচেয়ে খারাপ ফল বলে বিবেচিত ‘ডি’ গ্রেড (৩৩-৩৯ নম্বর) পেয়েছে। অর্থাৎ খারাপ ফল করা ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থীর মায়েরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘এডুকেশন ওয়াচ স্টাডি ২০২২’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলেনে ‘মহামারি-উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন এডুকেশন ওয়াচের ফোকাল পয়েন্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম ১৬ দশমিক ১ শতাংশ ফেল করা শিক্ষার্থীর মা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। এ শ্রেণির মায়েদের সন্তানের জিপিএ-৫ পাওয়ার হারও বেশি, যা ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া জিপিএ-৪ (এ গ্রেড) পেয়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করা মায়েদের সন্তানদের ফেলের হার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করা মায়ের সন্তানদের মধ্যে ফেলের হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ১৯ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থীর মায়ের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। ২২ শতাংশ মা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন। সবচেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ মা মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের সভাপতি ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গবেষক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test