E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্কুলে উপস্থিতি কম, ভার্চুয়ালি ক্লাস নিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান

২০২৩ নভেম্বর ০১ ১২:৫৬:০৭
স্কুলে উপস্থিতি কম, ভার্চুয়ালি ক্লাস নিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার : নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো টানা আন্দোলন কর্মসূচি দিচ্ছে। হরতালের পর এখন চলছে তিনদিনের ‘সর্বাত্মক অবরোধ’। অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে চাইছে সরকার। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

বছরের শেষে বার্ষিক পরীক্ষা ও সামষ্টিক মূল্যায়ন সামনে রেখে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। তবে অনেকেই সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। এতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্তিতি কম। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল ভার্চুয়ালি ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া কেউ ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে তাকে ‘অনুপস্থিত’ দেখানো হচ্ছে না।

বুধবার (১ নভেম্বর) অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখা, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামপুরা একরামুন্নেছা বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সপ্তবর্ণ বিদ্যানিকেতনসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে ক্লাসে কম উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে।

ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখার প্রধান জগদীশ চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমাদের ক্লাস চলছে। উপস্থিতিও ভালো। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা কম তো হবেই। শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা সতর্ক হয়ে যাতায়াত করলে আশা করা যায় সমস্যা হবে না।’

রামপুরার উলন রোডের সপ্তবর্ণ বিদ্যানিকেতনের পরিচালক মারুখা খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একেবারেই স্কুল আসছে না। আমরা জোরও করছি না। তবে যারা আসছে, তাদের নিয়ে আমরা ক্লাস চালিয়ে নিচ্ছি।’


এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে বুধবার থেকে চার বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা এটিকে ‘হাফ স্কুল’ বলছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান মতিঝিল আইডিয়ালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে আমরা চার পিরিয়ডের ক্লাস নিচ্ছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এভাবে ক্লাস নেওয়া হবে।’

অন্যদিকে মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বেশ কয়েকদিন ধরে ভার্চুয়ালি ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া উইলস লিটল ফ্লাওয়ারসহ বেশ কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেও ভার্চুয়ালি ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবির বলেন, ‘সরকার স্কুল বন্ধ রাখবে না। শিক্ষকরাও বাধ্য হয়ে স্কুল চালাচ্ছেন। আবার বিরোধী রাজনৈতিক দল, যারা কর্মসূচি দিচ্ছেন, তারাও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করছেন না। বছরের শেষে এখন এমন একটা সময়, যখন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। এ সময়ে সব পক্ষকে কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নেহাল আহমেদ বলেন, ‘সন্তানদের ঝুঁকিতে ফেলতে চান না কেউই। আমরাও চাই না যে একজন শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করুক। কিন্তু এখন বছরের শেষ সময়। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষ শেষ না করলে জট তৈরি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছি। তবে কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না। কেউ যদি নিরাপত্তার কারণে না আসতে পারে, তাকে অনুপস্থিত না দেখানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। জরিমানা আদায় করতেও নিষেধ করেছি। আশা করছি সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

(ওএস/ এএস/নভেম্বর ০১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test