E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিক্ষাখাতের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক

২০১৪ মে ২৫ ১২:৫১:৪৬
শিক্ষাখাতের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক

মো. আতিকুর রহমান : বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থাৎ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ণে কাজ করে যাচ্ছেন।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষাখাতের মানন্নোয়নের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে এই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ভিশন ২০২১ ঘোষণা করা হয়েছে যা ইতিবাচক। এখন এটি বাস্তবায়নে দল মত নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত জরুরী।

এই কাজে আমাদের মূলশক্তি তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষাখাতের সকল প্রকার বৈষম্য রোধ করে আধুনিক যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ আলোকিত ও পরোপকারি মানুষ হিসেবে তৈরি করতে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা জরুরী। তাই সাধ্যের মধ্যে সকলের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা পাওয়ার গণমানুষের যে দাবি তা পূরণে কাজটি যতই কঠিন ও জটিল হোক না কেন সরকারকেই এই খাতটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে।

আধুনিক বাংলাদেশ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে কোন উপায়ে হোক এই খাতে যত প্রকার জঞ্জাল, দুর্নীতি, জালিয়াতি, স্বজনপ্রীতি দূর করে সকলের সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিত করে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আর্দশ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।

যাতে তারা নতুন স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মানে আত্মনিয়োগ করতে পারে। তাই আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতের মানন্নোয়ন এবং সকলের জন্য সুষম শিক্ষা বাস্তবায়নে সরকারকে এই খাতে অধিক প্রাধান্য দিয়ে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। কেননা একমাত্র সুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতিই পারে সমাজের সকলপ্রকার বৈরী এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে এবং দেশ তথা সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে।

যদিও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাখাতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ভর্তিবাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কিছুটা হলেও কমেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজানোর কাজ করে যাচ্ছে, যা ইতিবাচক বলে মনে করি।

এই কাজে সরকার সাফল্য দেখাতে সক্ষম হবে এমনটিই আশা করি। এই কাজের পাশাপাশি সরকারকে ঘন ঘন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড ও উক্ত খাতে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহিৃত করে তাদের এহেন অপচেষ্টা ও অপতৎপরতাকে ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও অধিদপ্তরের তরফ থেকে কঠোর আইনী ব্যবস্থা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান উদ্যোগ দ্রুত গ্রহণ করতে হবে।

ইতোমধ্যেই পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গঠিত তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তা বাস্তবতার নিরিখে কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় করণীয় ঠিক করবেন এমনটিই আশা করি। যা সরকারের উক্ত খাতের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার অধিক প্রয়োজন বলে মনে করি।

বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষায় রেকর্ড ভাঙা রেজাল্টের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা কতটুকু জ্ঞান ও শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে সেই বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা পরীক্ষায় রেকর্ড ভাঙা ও গড়াটাই আসল কথা শিক্ষার্থীরা কি শিখছে সেই দিকটায় অধিক নজর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের এই খাতে সফলতার মধ্যে প্রথমেই আমাদেরকে বলতে হয় জাতীয় শিক্ষানীতি চুড়ান্ত অনুমোদনের কথা। শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর, নৈতিক মূল্যবোধ, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়বদ্ধতা সর্বোপরি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রনীত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০০ যা বর্তমান সরকারের আমলে সকলের মতামত ও সুপারিশের ওপর ভিত্তি ৯ম জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে করে গৃহীত ও অনুমোদন হয়।

এই ক্ষেত্রে যে বিষয়টি অধিক লক্ষণীয় তা হচ্ছে, উক্ত শিক্ষানীতি ঘোষণার পর তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ হয়নি, যা ইতিবাচক বলে মনে করি। এখন এটি বাস্তবায়নে কাজ চলছে। বিভিন্ন বিষয়ের সাব-কমিটি অব্যাহতভাবে উক্ত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে যা আমাদের মনে অধিক আশার সঞ্চয় করে।

সরকার এরই মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ২৭ কোটি বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, সকল প্রকার পরীক্ষা গ্রহণ এবং স্বল্পসময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ, যুগোপযোগি কারিকুলাম উন্নয়ন ও সমযোপযোগী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, পাঠদান পদ্ধতির মানন্নোয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষাব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ই-বুক চালু, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি প্রণয়ন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতি চালুকরণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন, কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানন্নোয়ন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলকে আধুনিকীকরণ, ভর্তি ও রেজাল্ট সংক্রান্ত সকল কাজকে ডিজিটালের আওয়তায় আনায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচী বাস্তবায়ন, অটিজম ও প্রতিবদ্ধীদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ ও আলাদা অটিজম একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানন্নোয়নে বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন, সর্বোপরি শিক্ষাখাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারসহ শিক্ষার গুনগত পরিবর্তনে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা উক্ত খাতের মানন্নোয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। শিক্ষাখাতে সরকারের যুগান্তকারী সংস্কার ও উন্নয়নের অগ্রগতির এই ধারা সামনের দিনগুলোতেও অটুট থাকুক এমনটিই প্রত্যাশা করি।

বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং শিক্ষা সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত আমার পরম শ্রদ্ধেয় ড. সাদিক স্যারের দক্ষ নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞ কর্মপ্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই খাতের সার্বিক মানন্নোয়নে বলিষ্ট পদক্ষেপ রাখতে সক্ষম হবে এমনটি আশা করি।

যদিও আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কোন সরকারের পক্ষেই রাতারাতি সবকিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই গুরুত্ব বুঝে সরকারকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে উক্ত খাতে সকল ধরনের জঞ্জাল, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও অনিয়ম আগে দূর করতে হবে। এই খাতে স্বচ্ছ, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক গতিশীল শিক্ষা প্রশাসন গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের অধিক আন্তরিক হতে হবে। সরকারকে এই খাতে সকল প্রকার অপচয় ও অর্থের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার নামে সমাজে যারা শিক্ষা বাণিজ্য করছে তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। পাবলিকসহ যে কোন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি চক্রকে চিহিৃত করে তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদিও দুঃখজনক ভাবে বলতে হয়, সম্প্রতি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে কারা জড়িত সে বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কোন সঠিক নির্দেশনা এবং দোষীদের সনাক্ত করতে পারেনি, যা বেদনাদায়ক। তাই এই ধরণের অনৈতিক কাজ রোধে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধসহ নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।

এই খাতে সম্ভাব্য ক্রটি ও সীমাবদ্ধতা চিহিৃত করে তা দ্রুত সংশোধন করে সঠিক পথে অগ্রসর হতে হবে এবং সকলের জন্য সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবেযদিও বলতে দ্বিধা নেই, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন কমিশন বিভিন্ন সময় যেসব সুপারিশ করেছে তার অধিকাংশই নানা জটিলতার কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে অধিকাংশ পাঠ্যসূচীই তাত্ত্বিক রয়ে গেছে। তা বৃত্তিমূলক ও কর্মকেন্দ্রিক নয়। কিন্তু আমাদের মত উন্নয়শীল দেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে মনে করি। আর তার জন্য মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ভিতরে সেইরূপ দৃষ্টিভঙ্গি ও মন মানসিকতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেননা আধুনিক কালে বিশ্বের সর্বত্র প্রয়োগমুখী শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

এর প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষার প্রয়োগিক ক্ষেত্র সীমিত হলে অর্জিত শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্খিত ফলাফল লাভ করা সম্ভব নয়। ব্যক্তি, সমাজ তথা দেশের উন্নতি নির্ভর করছে একজন শিক্ষার্থী যা শিখছে তার কতটুকু সে ব্যক্তিগত এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারছে তার উপর। মূলত: পুঁথিগত এবং তাত্ত্বিক শিক্ষার ফল লাভের সীমিত গণ্ডি প্রসারিত হয় শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষা সার্বজনিন ও বাধ্যতামূলক করার ফলে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা আত্মকর্মসংস্থাপনমূলক না হওয়ায় এদের অধিকাংশই জনদায়ে পরিনত হচ্ছে। ফলে এরা সমাজে নানা ধরনের অসামাজিকমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, যা সত্যিই বেদনাদায়ক। বর্তমান এ হেন পরিস্থিতিতে আমরা চাই অন্তত দেশের মাধ্যমিক স্তরের এই শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মমুখী ও বাস্তবসম্মত করা আবশ্যক। দেশের জনগোষ্ঠীর বৃহদাংশের সম্পদ ও সঙ্গিত দারিদ্র সীমার নিচে। সুতরাং তাদের জীবন মানের উন্নয়ন সাধন করতে হলে ছেলে-মেয়েদের কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে এ ব্যাপারের সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।

এক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে অবশ্যই উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার তুলনা করতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার নানাবিদ ক্রটি গভীরভাবে উপলব্ধি করে তা দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। সমস্যা সমাধানে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ কি কি পন্থা অবলম্বন করেছে যা জেনে বুঝে আমাদেরকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমাদেরকে ঐসব উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষাব্যবস্থার বিরাজমান সমস্যাগুলি অতিদ্রুত সমাধান করতে হবে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মতো আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি নির্ভর ও কায়িক শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তুলতে হবে। এই কাজে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ ভুমিকা রাখতে হবে।

মূলত: সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষাব্যবস্থার সকল প্রকার ক্রটিমুক্ত করে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গঠন করতে বিশেষ ভুমিকা রাখতে হবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সর্বপরি শিক্ষার গুণগত মানন্নোয়নে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আরো সুদূর প্রসারিত হোক এবং যথাযথ সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণ হোক এমনটিই জাতি আশা করে।

লেখক, কলামিস্ট

(মে ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test