E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আন্দোলন অব্যাহত, অনড় অবস্থানে প্রশাসন

২০১৪ জুন ১২ ২০:০৫:২৩
আন্দোলন অব্যাহত, অনড় অবস্থানে প্রশাসন

বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সেমিস্টার ফি প্রত্যাহারের আন্দোলন চলছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছেন।

তবে তাদের আন্দোলনের দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপাচার্যের বাসভবন ও প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে চলছে টানা আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা এক টাকাও অতিরিক্ত সেমিস্টার ফি দেবেন না বলে অনড়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রশাসন সেমিস্টার ফি না কমানোর সিদ্ধান্তে অটল।

জানা যায়, অতিরিক্ত এই ফি প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিভিন্ন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন অনুষদের শ্রেণি প্রতিনিধিরা। অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা হুমকি দেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, ছাত্র ফ্রন্ট এবং ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি শাখার নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে বিষয়টি অযৌক্তিক দাবি করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পাত্তাই দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উল্টো শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের ব্যাপারে অনড়। তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না।

এর সমাধান কোন পথে, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তালবাহানার জন্য তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাদের দাবি মেনে নিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন।

এর আগেও ছাত্ররা একই ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু পরে কৌশলে সেমিস্টার ফিসহ অন্যান্য ফি বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, শিক্ষার্থীরা বিনা কারণে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে রেখেছে। তাদের দাবি অযৌক্তিক।

উল্লেখ্য, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর সেমিস্টার ফি, টিএসসি উন্নয়ন, ছাত্র সংসদ ও ইন্টারনেট ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা ধার্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। গত বছর থেকে দফায় দফায় আন্দোলন চলার পরও এই সেমিস্টার ফি বহাল রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেতন কম বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের দাবির কথা বিবেচনা করে বেতন ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। এ টাকাও তারা দিতে চায় না। বেতন বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। আমার এখানে কিছু করার নেই।’

(ওএস/এস/জুন ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test