E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

এলার্জি সমস্যায় করণীয়

২০১৭ নভেম্বর ১৭ ১৪:৫৯:১২
এলার্জি সমস্যায় করণীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক : বেশির ভাগ মানুষই ধারণা করে চর্মরোগ মানেই হলো এলার্জি। কিন্তু হাজারো চর্মরোগের ভিতরে এলার্জি হচ্ছে শুধুমাত্র এক প্রকার রোগ।

এলার্জি রোগটি সকলের কাছে অতি পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও এ নিয়ে মানুষের ভুল ধারণার অন্ত নেই।

সাধারণত এলার্জি হলে হঠাৎ শরীরে দানা ওঠা শুরু হয় বা শরীরে বিভিন্ন স্থানের ত্বক লাল চাকা চাকা হয়ে ফুলে যায় এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড চুলকানি থাকতে পারে। অনেক সময় সারা শরীরও ফুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, অস্থিসন্ধি ব্যথা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। এমনকি হঠাৎ কোনো তীব্র এলার্জিক রিয়েকশনে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এলার্জি রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর সব জিনিসই এলার্জির কারণ হতে পারে। একেকজনের দেহ ও ত্বক একেক ধরনের জিনিসের প্রতি এলার্জিক হয়ে থাকে। যেকোনো খাদ্য দ্রব্য, প্রসাধনী সামগ্রী, পরিধেয় ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র, পারিপার্শ্বিক ধুলা-বালি, মশা-মাছি ও পোকা-মাকড়ের কামড়, আবহাওয়া, সূর্যালোক, কৃমি, আঘাত, কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ, এমনকি দুশ্চিন্তাতেও এলার্জি হতে পারে। যাদের বংশে হাঁপানি, একজিমা বা এলার্জির সমস্যা আছে তাদের এলার্জির প্রবণতা তুলনামূলক অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে।

এলার্জির প্রাথমিক ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হিসেবে ওরাল, টপিকাল অথবা ইনজেক্টেবল এন্টিহিসটামিন কিংবা অনেক সময় স্টেরয়েড দেয়া হয়।

সঠিক ও উপযুক্ত চিকিৎসার পূর্বশর্ত এলার্জি সৃষ্টিকারী কারণটি খুঁজে বের করতে হবে এবং যথাসম্ভব তা এড়িয়ে চলতে হবে। এলার্জিক জিনিসের সংস্পর্শে না আসলে, অনেক ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শরীরের সংবেদনশীলতা কমে গিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে।

তবে চিকিৎসকের উপদেশ ও ওষুধপত্রের মাধ্যমে যেকোনো এলার্জির রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। পাশাপাশি এলার্জি হয় এমন খাবার (চিংড়ি, ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, ডিম, বেগুন) পরিহার করতে হবে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test