E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্যান্সার থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট

২০১৮ জানুয়ারি ১০ ১৫:১৫:০৭
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট

স্বাস্থ্য ডেস্ক : ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামী তিন বছরে এই রোগ যে মহামারির আকার নেবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে দেহের অন্দরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটের রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা-

টক্সিকমুক্ত করে শরীরকে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে দেহে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরো সব জটিল রোগও ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডার্ক চকোলেটে দুধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। একটা হলো ফ্লেবোনয়েড এবং দ্বিতীয়টি হলো পলিফেনলস, যা নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:

আমাদের শরীরের ইঞ্জিন হলো হার্ট। তাই এই অঙ্গটির দেখভাল যদি ঠিক মতো করতে পারেন, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোরো চিন্তাই থাকে না। আর হার্টকে চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খান। তাহলেই দেখবেন হার্টের কর্মক্ষমতা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাবে। আসলে ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত ফ্লেবোনয়েড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শক্তিশালী এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি হার্টে রক্তের প্রভাব বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে একেবারেই সময় লাগে না। ফ্লেবোনয়েড রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:

ডার্ক চকোলেটে তাকা পলিফেনলস রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচ ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, তত হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে, সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরেরও অনেক উপকার হয়। তাই হার্টের রোগীদের নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

ব্রেন ফাংশন লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পায়:

আপনি কি ব্যোমকেশ বক্সী বা ফেলু মিত্তিরের মতো বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান? তাহলে তো মশাই নিয়মিত একটু করে ডার্ক চকোলেট খেতেই হবে। কারণ এর মধ্যে উপস্থিত ফ্লেবোনয়েড ব্রেন ফাংশনের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটায় যে একদিকে যেমন বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করে, তেমনি অন্যদিকে স্মৃতিশক্তি এবং মনযোগেরও বিকাশ ঘটে। চকোলেটের পাশাপাশি ওয়াইন এবং লাল চায়েও প্রচুর মাত্রায় ফ্লেবোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই দু ধরনের পানীয় সেবন করলেও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

এই বিষয়ক হওয়া একাধিক স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে টানা ৮ সপ্তাহ যদি নিয়মিত ডার্ক টকোলেট খাওয়া যায়, তাহলে একদিকে যেমন রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়। যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পয়েছে, তেমনি ব্লাড প্রসারের প্রকোপও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার প্রয়োজনও যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত এই বিশেষ ধরনের চকোলেটটি খাওয়া শুরু করলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুয়োগ পায় না।সূত্র:বোল্ডস্কাই।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test