E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

থ্যালাসেমিয়ায় আপনার করণীয়

২০১৪ জুলাই ২০ ১১:৩৪:৪৭
থ্যালাসেমিয়ায় আপনার করণীয়

নিউজ ডেস্ক : থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক বংশগত রোগ। এটি সাধারণত বাবা মায়ের জীনের ত্রুটির কারণে সন্তানদের মধ্যে হয়ে থাকে। যদি বাবা মায়ের জীনে থ্যালাসেমিয়ার বাহক থাকে তবে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার আশংকা থাকে অনেক বেশি।

যাদের থ্যালাসেমিয়া রোগটি খুব অল্প পর্যায়ের হয়ে থাকে তাদেরকে এই রোগের বাহক ধরা হয়। থ্যালাসেমিয়ার বাহকদের কোনো সমস্যা না হলেও দুজন থ্যালাসেমিয়ার বাহকের বিয়ে হলে তাদের সন্তানকে এই ভয়াবহ রোগটি নিয়ে জন্মাতে দেখা যায়। এই রোগে দেহে রক্ত উৎপন্ন হয় না। এবং রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজীবন শরীরে রক্ত দিয়ে যেতে হয়।
থ্যালাসেমিয়া রোগে করণীয়
থ্যালাসেমিয়া রোগটি দুই পর্যায়ের হতে পারে প্রাথমিক এবং মাঝারি থেকে মারাত্মক। দুই পর্যায়ের থ্যালাসেমিয়ার জন্য আলাদা ধরণের চিকিৎসা রয়েছে। তবে রোগটি পুরোপুরি নিরাময় যোগ্য নয়।
প্রাথমিক থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে : প্রাথমিক থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ ও উপসর্গ খুবই কম থাকে। এবং প্রাথমিক থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে খুবই অল্প চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ব্যতিক্রম কিছু ঘটলে যেমন-কোন বড় অপারেশন করা হলে কিংবা গর্ভবতী মা সন্তান প্রসবের পর অথবা অন্য কোনো কারণে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন পরতে পারে।
মাঝারি থেকে মারাত্মক থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রেঃ মাঝারি এবং মারাত্মক পর্যায়ের থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের পর্যায় অনুসারে বছরে বেশ কয়েকবার রোগীকে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। রোগটি একেবারে মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হতে পারে। এবং এর সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে।
সতর্কতা
থ্যালাসেমিয়ার রোগীকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখতে রোগের পর্যায় অনুযায়ী বছরে ৮ থেকে ১০ বার রক্ত দিয়ে যেতে হয়। এতে করে প্রতি ব্যাগ রক্তের সঙ্গে শরীরে জমা হয় বাড়তি আয়রন। এই অতিরিক্ত আয়রন লিভার ও প্যানক্রিয়াসে গিয়ে জমা হতে থাকে। এই দুটি অংশে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। আয়রন জমা হওয়ার ফলে লিভার সিরোসিস ও ডায়বেটিস রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়। সুতরাং ডাক্তারের কোনো প্রকার নির্দেশনা ছাড়া আয়রণযুক্ত ঔষধ, ভিটামিন বা অন্যকোন ঔষধ খাওয়া যাবে না। এবং রোগীকে সব সময় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে ক্যালসিয়াম, জিংক, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যাতে অন্য কোন জীবানু দ্বারা আক্রান্ত না হতে পারেন সেজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বিয়ের ব্যাপারে সতর্কতা
বিয়ের আগে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি নিজে যদি একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক হাকেন তবে অবশ্যই বিয়ে আগে হবু সঙ্গী থ্যালাসেমিয়া বাহক কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ দুজনেই বাহক হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যদি দুজনের মাত্র একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়ে থাকেন তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
(ওএস/এএস/জুলাই ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test