E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যেসব লক্ষণে বুঝবেন স্তন ক্যান্সার

২০১৯ নভেম্বর ০৪ ১৭:২৩:০৩
যেসব লক্ষণে বুঝবেন স্তন ক্যান্সার

স্বাস্থ্য ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি নারী। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান।স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। খবর -বিবিসি বাংলার।

স্তন ক্যান্সার কি?

চিকিৎসকরা বলছেন, স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়।

সেটি রক্তনালির লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার।

যেসব লক্ষণ নিয়ে আসেন রোগীরা?

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশে নারীরা স্তনে পরিবর্তনের কথা অনেক সময় গোপন রাখেন।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নাজনীন নাহার বলেন, স্তন ক্যান্সারে শুধু নারীরা নন, পুরুষরাও আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

স্তন ক্যান্সার কেন হয়?

খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে। পরিবারে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে হতে পারে। কারও যদি ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় এবং দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকে। সেই সঙ্গে তেজস্ক্রিয় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

অধ্যাপক নাজনীন নাহার বলেন, দেরিতে সন্তান গ্রহণ, আবার যাদের সন্তান নেই বা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষ বেশি থাকলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে এবং অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

একই সঙ্গে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আর করার কিছু থাকে না। তিনি বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে স্তন ক্যান্সার ১০০ ভাগ নিরাময়যোগ্য।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?

১. স্তনে চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলে।

২. স্তনের বোঁটার কোনো ধরনের পরিবর্তন, যেমন ভেতরে ঢুকে গেলে, অসমান বা বাঁকা হয়ে গেলে।

৩. স্তনের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে ও চামড়ার রঙ বা চেহারায় পরিবর্তন হলে।
৪. বাহুমূলে পিণ্ড বা চাকা দেখা গেলে।

বয়স ৩০ বা ৩৫ হওয়ার পর সব নারীর উচিত নিয়মিত নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা। এ জন্য মূলত তিনটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test