E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘কমিউনিটি নার্স’ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ান

২০২০ জুন ১৭ ১৩:২৬:৫৮
‘কমিউনিটি নার্স’ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ান

স্বাস্থ্য ডেস্ক : মানুষের জন্য বড় সংকটময় সময় চলছে। ক্ষুদ্র একটি ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে পুরো পৃথিবীর মানুষ। আতঙ্কে ভুগছে সারাক্ষণ। এমন অবস্থায় সুস্থ থাকতে পারাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

এই কঠিন দিনে কে কার পাশে দাঁড়াবে? সবাই উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত। আবার এমনও অনেকে আছেন যাদের দেখাশোনা করার জন্য, সেবা দিয়ে সুস্থ করার জন্য সত্যিই কেউ নেই। হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে। ভিড়ের কারণে বা সংক্রমণের ভয়ে অনেকে আবার হাসপাতালমুখী হতেও ভয় পাচ্ছেন।

তবে কি মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে না? বিশেষ করে যারা বয়স্ক, তাদের জন্য এই রোগে আক্রান্ত হলে ঝুঁকিটা বেশি থাকে। এমন অবস্থায় সেবা প্রদানের মাধ্যমে কাউকে সুস্থ করে তোলাটা হতে পারে আপনার পেশা। ‘কমিউনিটি নার্স’ হিসেবে দাঁড়াতে পারেন মানুষের পাশে।

যাদের বাড়িতে খাবার নেই, অনেক স্বেচ্ছাসেবী তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু যাদের সেবা করার কেউ নেই, তাদের পাশে কে দাঁড়াবে? কাউকে না কাউকে তো দাঁড়াতেই হবে। এমন একটা সময়, অনেকেই চাকরি হারাচ্ছেন, তাদের বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি রোগীর সেবাদানকে পেশা হিসেবে বেছে নেন, তবে উভয়ের জন্যই ভালো। আপনার আর্থিক সমস্যা দূর হলো, আবার আপনার সেবা পেয়ে একজন অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠলো।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, বিষয়টি কি শুধু আর্থিক নিশ্চয়তার জন্যই? এমনটা নাও হতে পারে। আপনি সেবাদানে আগ্রহী হলেই যথেষ্ট। আপনি যদি প্রতিদানে কিছু না নিতে চান, সেটিও আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। শুরুটা হতে পারে পরিবার, পরিজন বা প্রতিবেশি কাউকে দিয়ে। আপনার মধ্যে যতটুকু প্রাণশক্তি আছে, মানুষের সেবায় তা কাজে লাগাতে পারেন।

যদি পেশা হিসেবে নিতে চান, তবে আশেপাশেই এমন অনেককে পেয়ে যাবেন, যাদের আসলে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার মতো কেউ নেই। তাদের পাশে দাঁড়ান। আপনি এই কাজের মাধ্যমে কতটা আর্থিক নিশ্চয়তা চান, সেই বিষয়টিও তাদের জানান।

রোগী ওষুধ, খাবার ও অন্যান্য বিষয়ের দিকে নজর দিন। তাকে পরিচ্ছন্ন থাকতে সাহায্য করুন। মনে রাখবেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে যেকেনো ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়াতে পারে। সবকিছু নিয়মমাফিক মেনে চললে রোগী দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে। আর একাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারেন আপনিই।

শারীরিক বিষয়ে খেয়াল রাখার পাশাপাশি সমর্থন জোগান মানসিক দিকেও। আপনার একটুখানি আন্তরিকতাই হয়তো রোগীর মনোবল বাড়িয়ে সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

যেহেতু এটি একটি সংক্রমণ তাই সেবাদানকারীরও যথেষ্ট ভয় থেকে যায় সংক্রমিত হওয়ার। তাই রোগীর দেখাশোনার পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে তবেই সেবার কাজে নামুন। আপনার সেবার কারণে আরেকটি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠলে সেই আত্মতৃপ্তি সারা জীবন আপনাকে প্রশান্তি দেবে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখুন, অন্যকে সুস্থ হতে সাহায্য করুন।

(ওএস/এসপি/জুন ১৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test