E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চিকিৎসক শূন্যতায় বরিশাল শেবাচিমের ৫ বিভাগে তালা

২০১৪ আগস্ট ২৬ ১৭:২১:৫৯
চিকিৎসক শূন্যতায় বরিশাল শেবাচিমের ৫ বিভাগে তালা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. এম.এম এহসানুল হককে অবশেষে ওএসডি করে ঢাকায় বদলী করার সাথে সাথেই চিকিৎসক শূন্যতায় তালা ঝুললো নিউরো সার্জারী বিভাগে। এরআগে একই কারনে রেডিওথেরাপী (ক্যান্সার), রক্ত পরিসঞ্চালন, নেফ্রোলজী ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তালা ঝুঁলানোর অপেক্ষায় রয়েছে ফরেনসিক মেডিসিন, ডার্মাটোলজি, সাইকিয়াট্রি, নিউরো মেডিসিন, বান ও প্লাষ্টিক সার্জারী, এন্ডোক্রাইন ও মেটাবলিক এন্ডোক্রানোলজী এবং শিশু হেমাটোলজী ও অনকোলজী বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডাঃ এম.এম এহসানুল হককে ওএসডি করে ঢাকায় বদলীর নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এরআগে ঢাকায় বদলী আদেশ নিয়ে বরিশাল ত্যাগ করেছেন অপর নিউরো সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুজ্জামান। তাদের স্থলে এখন পর্যন্তকেউ আসেননি। ফলে গত সোমবার (২৫ আগস্ট) থেকে এ বিভাগে তালা ঝুলছে। নিউরো সার্জারী বিভাগে ডা. সুকৃতি দাস বদলী হয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েক বছর এ বিভাগের তালা ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। এরপর ডা. এম.এম এহসানুল হক ও ডা. মো. নুরুজ্জামান এসে অল্পদিনের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেন।

প্রথমবারের মতো মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণের সফল অস্ত্রপাচারও করেন তারা। কিন্তু তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ ছিলো। তবুও সপ্তাহে ২/৩ দিনের জন্য হলেও বরিশালবাসী তাদের সেবা পেতো। কিন্তু সোমবার ছাড়পত্র নিয়ে ডা. এম.এম এহসানুল হক বরিশাল থেকে বিদায় নেয়ায় ২/৩ দিনের সেবা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন এখানকার রোগীরা। অপরদিকে রেডিওথেরাপী (ক্যান্সার) বিভাগের চিকিৎসক ডা. তরিৎ কুমার সমাদ্দার বদলী হওয়ার পর নতুন করে এখনও কেউ যোগদান করেননি। রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে ডা. বৃন্দাবন বিশ্বাস অবসরে যাওয়ার পর নতুন কেউ এ বিভাগে যোগদান করেননি।

নেফ্রোলজী বিভাগে ডা. আবুল কাশেম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বদলী হওয়ার পর নতুন কোন চিকিৎসক এ বিভাগে যোগদান করেনি। এছাড়া বর্তমান সরকারের নবসৃস্ট ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি।
ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে চলছে সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আক্তারুজ্জামান তালুকদারের ওপর ভর করে।

এ বিভাগে এখনো একজন করে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। একইভাবে সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিপ্লব কুমার দাসের ওপর ভর করে চলছে ডার্মাটোলজি বিভাগ। এ বিভাগে একটি সহকারী অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে। শিশু হেমাটোলজী ও অনকোলজী বিভাগ চলছে সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমানের ওপর ভর করে। সদ্য সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. তপন কুমার সাহাকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ সাইকিয়াট্রি বিভাগের তালা খোলা হয়েছে। তবে এখনো এ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে।

একইভাবে রেজিস্ট্রার থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়ায় নিউরো মেডিসিন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করেতে পেরেছেন ডা. অমিতাভ সরকার। তবে এখনো নিউরো মেডিসিন বিভাগের একটি অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে। বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমানের ওপর ভর করে চলছে। এ বিভাগে এখনো একটি করে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। এন্ডোক্রাইন ও মেটাবলিক এন্ডোক্রানোলজী বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যপকও সহকারী অধ্যাপক পদে একাই দায়িত্ব পালন করছেন ডা. সৈয়দ আব্দুল কাদের।


(টিবি/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test