E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি

২০২১ জুন ২৭ ১৫:৫৯:৫১
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি

স্টাফ রিপোর্টার : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির বিষয়ে গবেষণা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একদল গবেষক। এতে দেখা গেছে, এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়াদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম শামসুজ্জামান। এই গবেষণায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া ঢামেক হাসপাতালের ৩০৮ জন চিকিৎসক ও কর্মচারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

রোববার (২৭ জুন) সকালে ঢামেকের লেকচার হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম শামসুজ্জামান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেয়া ৩০৮ জন চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর গবেষণা করি। এই গবেষণা পাঁচ মাস ধরে করা হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকের শরীরে প্রথম ডোজ নেয়ার চার সপ্তাহ পরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৪১ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর নমুনা সংগ্রহ করে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এই গবেষণা চালানো হয়েছে যাদের বয়স ৪২-৫০ বছরের মধ্যে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন নিলে করো না হবে না এ কথাটি ঠিক নয়।’ যাদের ভ্যাকসিন নেয়া থাকবে তাদের করোনা হলেও সিভিয়ার পর্যায়ে যাবে না বলে জানান তিনি।

ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা বলেন, ‘টিকা নেয়ার ছয় মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গবেষণা চলবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাজেটে গবেষণার জন্য আলাদা বরাদ্দ রেখেছেন যা আমাদের নতুন নতুন গবেষণা করতে সহায়তা করবে।’ এই গবেষণাটি অনেক ব্যয়বহুল বলে জানান তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘সঠিক সময় সঠিক গবেষণা করেছেন আমাদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষকরা। গবেষণাটি যারা করেছেন তাদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এই ভ্যাকসিন নিলে আমরা ভালো একটা রেজাল্ট পাব পাশাপাশি আমরা ভালো একটা প্রোটেকশন পেতে পারি সেই বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই।’

এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সহযোগিতা করেছেন ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার টিটু মিঞা এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী।

(ওএস/এসপি/জুন ২৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test