E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, নোংরা পরিবেশেই চিকিৎসা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০২ ১৫:১৫:২২
টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, নোংরা পরিবেশেই চিকিৎসা

নবারুণ দাশগুপ্ত, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে মারাত্মক আকার ধারন করেছে, দিন দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে কোনো অবস্থাতেই মিলছে না এর প্রতিকার, একের পর বেড়েই চলছে রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটিতে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সেকমো মোঃ রাকিব হাসানের সাথে কথা বলে জানাযায় দৈনিক ২০-থেকে ২৫ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে, অপরদিকে সুস্থ্য হয়ে ফিরছেন ফিরছেন অনেকেই, কিছুদিন পূর্বে ওই স্বাস্থকম্প্লেক্সে হতে সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফেরা ডেঙ্গুরোগী মনিরুজ্জামান বিদ্যুৎ নামের ওই স্বাস্থকম্প্লেক্সে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সাথে কথোপকথনে জানাযায় চিকিৎসার মান যথাযথ হলেও যেমনটা নোংরা ঠিক তেমনটাই কিছু সেবিকাদেন আচার আচরণবিধি তাকলাগানো চোখে পড়ার মতই।

অপরদিকে হাসপাতালের শৌচাগার গুলো যে কোনো রোগীর ক্ষেত্রেই ব্যবহারের অনুপযোগী, তবে আমার ধারনা উক্ত বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ অনুসন্ধান ও ক্ষতিয়ে দেখলে সকল সমস্যার সমাধান হবে এবং উপজেলাবাসীর নিকটতম নিরাপদ ও সু- চিকিৎসা এখানেই পাওয়া সম্ভব হবে বলে রুগীদের ধারনা।

আমতলী গ্রাম খেকে চিকিৎসা নিতে আসা মাহামুদা আক্তার জানান হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবার দেয় একবেলা শুধু সকালে পাউরুটি কলা ও একটি করে ডিম দুপুরে কোনো দেয়না শুধু একগ্লাস পরিমাণ দুধ ব্যতীত আর কিছুই দেয়না, তাহলে কি দুপুরবেলার খাবার কি দুধ সরকার দুপুরবেলার খাবারের বরাদ্দ রাখে নাই।

অপরদিকে ক্লিনার ও মেথরদের কোনো পাত্তাই পাওয়া যায়না। তাহলে সরকার এদের শুধু শুধু বেতন দেয়ার মানে কি। এমতাবস্থায় ক্লিনারদের সাথে কথা বলে জানাযায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান আমরা এ হাসপাতালে আউটসোর্সিং এ মাত্র ২হাজার টাকা বেতন পাই। এই টাকা দিয়ে এইযুগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পরিবার সকলের চাহিদা মিটানো কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না। তাই জীবন ও জীবিকার তাগিদে কোনোরকম দ্রুত কাজ শেষ করে অন্যত্র কাজ করতে হয়। আউটসোর্সিং এর আরোও ২জন ক্লিনার এবং ওয়ার্ড বয় শাহাবুদ্দিন ও বিপ্লবের সাথে কথোপকথন করে জানাযায় মাষ্টাররুলে ১০মাস যাবৎ কোনো বেতন পাচ্ছি না। আমরা দুই ঈদের এক ঈদেরছুটিতে দেশেরবাড়ি যেতে পারি নাই। বাড়িতে অসুস্থ বাবা মাকে রেখে অভাবের তাড়নায় চিকিৎসা ও বাজার খরচ দিতে পারছি না। লজ্জায় পরিবার সকলের নিকট মুখ দেখাতে পারছি না। কোনোরকম হামাগুড়ি দিয়ে দিন অতিবাহিত করছি।

এ সকল বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর, এম, ও ডাঃ নুর ই আলম ছিদ্দিক জানান ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেরে যাওয়ায় কর্মী ও সংকটের কারনে সেবার মান শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না তবে আশারাখি অতিদ্রুতই সংকটময় মুহুর্ত কেটে যাবে, নার্সিং এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান কিছু সিস্টার আছে প্রায় সময় বিভিন্ন রোগীর সাথে অপ্রিতীকর ঘটনা ও বাকবিতণ্ডে জড়ায় তবে এটা ঠিক নয়।

এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না উপযুক্ত ব্যাবস্থাপনায় আসব, এছাড়া ক্লিনার এবং ওয়ার্ড বয়দের বেতন এটা সম্পূর্ণ সিভিলসার্জন কার্য্যালয়ের বিষয় বেতন সেখান থেকেই দিবে।

ওই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের টি, এস, ড. প্রণয় মান্না দাস দূরালাপনিতে হাসপাতালে রোগীদের দুপুরবেলার খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫০ জনের খাবার দেয়া সম্ভব কিন্তু যেখানে ৭৮ জন রোগী সেখানে এত রোগীর দুপুরবেলার খাবার দেয়া কি করে সম্ভব। কাগজপত্র ও রেজিস্টার খাতায় দেখা যায় দৈনিক ৭৮ জন রোগী হয় না কোনো ৩৫ থেকে ৪০ জন আবার কখনো কখনো ২০ থেকে ৩০জন ও রোগী হয় তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় তখনো দুপুরবেলার খাবার কেনো দেয়া হয় না, এ বেপারে তিনি কোনো সদ উত্তর দিতে পারেন নাই।নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে রুগীদের।

(এনডিজি/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test