E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফুলকপির অনেক গুণ

২০১৫ নভেম্বর ২৬ ১৩:২৩:২৫
ফুলকপির অনেক গুণ

নিউজ ডেস্ক: ফুলকপি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এই পাতার উপরিভাগে ক্যানসার নিরোধক উপাদান পেয়েছেন বলে একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় এক কেজি ফুলকপি এবং সমজাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে প্রায় ৩০ গ্রাম পরিমাণে খেলে ওই ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।

আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ফুলকপির কচি পাতা থেকে সংগৃহীত আইসো থায়োসায়ানেটস নির্যাস প্রয়োগে বুকের টিউমারের আকার ও সংখ্যা কমে। এসব টিউমার ক্যানসারে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ছিল।

খাওয়ার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে। ফুলকপির পাতায় প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ক্যালসিয়াম, আয়রন আছে। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ, সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমিশাকের চেয়ে ৬ গুণ, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে ৭ গুণ, পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে ৮ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ ও গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি।

ফুলকপির কচি পাতায় প্রায় সব খাবারের চেয়ে অনেক বেশি আয়রন আছে। যেমন: সবুজ কচুশাকের চেয়ে ৪ গুণ, ডাঁটা শাকের চেয়ে দেড় গুণ, কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের ৫ গুণ বেশি। তবে এই পুষ্টিমান ফুলকপির জাত ও উত্পাদনের স্থানের ওপর নির্ভরশীল।

ফুলকপির আরও কিছু গুণ:

শীতের সবজি এখন বাজারে। আর এরমধ্যে ফুলকপি অন্যতম। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে। আরও থাকে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ক্যালসিয়াম, আয়রন। ফুলকপিতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে তা কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ, সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমিশাকের চেয়ে ৬ গুণ, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে ৭ গুণ, পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে ৮ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ ও গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি।

ফুলকপির কচি পাতাও পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা সবুজ কচুশাকের চেয়ে ৪ গুণ, ডাঁটা শাকের চেয়ে দেড় গুণ, কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের ৫ গুণ বেশি। এছাড়া ফুলকপির ডাঁটায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম।

ফুলকপির গুণাগুণ:

- ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত-মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড। নিয়মিত ফুলকপি খেলে অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

- ফুলকপি খেলে দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়ে। বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য ফুলকপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

- ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ফুলকপি খাওয়া ভালো। এতে সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, সারা শরীরে ব্যথা ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া, ঠান্ডায় কান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।

- ফুলকপিতে উপস্থিত উচ্চমাত্রাসম্পন্ন আয়রন রক্ত তৈরি, গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমী মানুষের জন্য অত্যান্ত জরুরি।

- ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ জিহ্বায় ঘা হওয়া, তালুর চামড়া ওঠা বা ছিলে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

- ফুলকপিতে রয়েছে দেহ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষ।

- ফুলকপি স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এই সবজি। ক্যান্সারের জীবাণুকে দেহ থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ফুলকপির যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

সতর্কতা: ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও পটাশিয়াম রয়েছে। তাই যারা কিডনির জটিলতায় ভুগছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ফুলকপি খাবেন।

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test