E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

২০১৬ আগস্ট ০৫ ১৪:১১:৫৬
ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

নিউজ ডেস্ক : বর্ষা মৌসুম চলছে। এ সময়ে প্রতি বছরই তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। জীবাণুবাহী এডিস মশার কামড়ে এবং আরবো ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে ও পেশীতে যন্ত্রণা, ত্বকে র‌্যাশ বেরনো ইত্যাদি হলো এই রোগের উপসর্গ। ডেঙ্গুর জ্বর ২ রকমের হয়। প্রথমত ক্ল্যাসিকাল ফিভার এবং অন্যটি হলো হেমোরেজিক ফিভার। দ্বিতীয় ধরনের ডেঙ্গু প্রাণঘাতীও হতে পারে।

হেমোরেজিক ফিভারের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ, রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়া অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমের পরিণত হয়। এর ফলে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়। পরিণতি মৃত্যুও হতে পারে।

তাই ডেঙ্গুর চিকিৎসা অবিলম্বে শুরু করা প্রয়োজন। ডাক্তারের চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও ডেঙ্গুর মোকাবিলা করা যেতে পারে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জেনে নিন, চিকিৎসার পাশাপাশি কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি ডেঙ্গুর মোকাবিলা করতে পারেন।

* পানি পান: ডেঙ্গু হলে যত বেশি সম্ভব পানি খান। কারণ এই সময়ে শরীর প্রচণ্ডভাবে ডিহাইড্রেট হয়ে পরতে পারে। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীরের সমস্যা আরো বাড়তে পারে। তাই ডেঙ্গু হলে দিনে ৩-৪ লিটার পানি খাওয়া উচিত। চিকিৎসকদের কথায় যত পানি খাবেন, তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাড়বে।

* নিম পাতা: নিম পাতার অনেক গুণ। ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রেও নিমের ভূমিকা অপরিসীম। নিম পাতার রস কমে যাওয়া প্লেটলেটের বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে পাশাপাশি রক্তে শ্বেত কণিকার পরিমান বাড়াতেও সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের শক্তি পুণরায় ফিরে আসে।

* পেঁপে গাছের পাতা: পেঁপে গাছের পাতাও রক্তের প্লেটলেট দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

* কমলার রস: কমলার রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা ডেঙ্গুর ভাইরাসকে নষ্ট করতে সাহায্য করে এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রসাবের মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থগুলোকে বের করে এবং ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করে কোষ পুনর্গঠন করে।

* মেথি: মেথি শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা কমাতে সাহায্যে করে এবং শরীরের ব্যথা নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। ফলে নিশ্চিন্ত ঘুম হয়, যা শরীরকে দ্রুত সুস্থ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।

* পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়া গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি পুদিনার তেলের ব্যবহার করলে মশা আশেপাশে ঘেঁষবে না।

* বার্লি পাতা: বার্লি পাতা চিবিয়ে খেলে তা শরীরের রক্ত উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে প্লেটলেটের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

* শাকসবজি: অলিভ, সোয়াবিন, ব্রকোলি, ফুলকপি, টমেটো প্রভৃতি সবজি শরীরের রক্তের প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্ত জমাট বাধতে পারে না। এর ফলে প্লেটলেটের মাত্রাও সঠিক থাকে। তাই প্রচুর পরিমানে সবজি খান।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test