E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তেলাপিয়া মাছে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা ঝুঁকি নেই

২০১৬ আগস্ট ২৪ ২৩:২১:৪১
তেলাপিয়া মাছে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা ঝুঁকি নেই

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে উৎপাদিত তেলাপিয়া মাছ খাওয়ায় কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা ঝুঁকি নেই। এখানকার তেলাপিয়া মাছে কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নেই। স্বাস্থ্যের জন্য শতভাগ নিরাপদ এবং পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। সুতরাং দেশের মানুষ বিনা ভয়ে তেলাপিয়া মাছ খেতে পারবেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিফআরআই) এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বুধবার এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।

রাজধানীর মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এই সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। দেশের তেলাপিয়া মাছের গুণগত মান সম্পর্কে জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিফআরআই এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল ওহাব প্রমুখ।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফ্রোজেন ফুড অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ তেলাপিয়া ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, যশোরের মৎস্য চাষী আজিজুর রহমানসহ বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মৎস্য খাতের উদ্যোক্তা ও চাষীরা।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএইচ এম কহিনুর মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘বিএফআরআই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেলাপিয়া মাসের ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে। গবেষণায় তেলাপিয়ায় একটি নমুনাতেও বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।’

ড. কহিনুর গবেষণার তথ্য উপস্থাপনকালে বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তেলাপিয়া মাছের মান সম্পর্কে নেতিবাচক খবর প্রচার করা হয়েছে। ফলে দেশের চাষীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি মাঠ পর্যারের চাষীদের। আমেরিকার একাধিক ব্লগ ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বাংলাদেশের চাষকৃত তেলাপিয়ায় বিষাক্ত উচ্চমাত্রায় ডায়োক্সিন, ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড এবং বিষাক্ত এন্টিবায়োটিক রয়েছে বলে দাবি করা হয়, যা ক্যান্সারসহ নানা রোগের কারণ হতে পারে।’ এটা সম্পূর্ণ অপ্রচার বলে মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test