E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আট বছরে ওষুধ রফতানি বেড়েছে সাতগুণ

২০১৭ জুন ০৪ ১১:৩৯:৪৩
আট বছরে ওষুধ রফতানি বেড়েছে সাতগুণ

স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকারের আমলে গত আট বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানির পরিমাণ সাতগুণ বেড়েছে। ২০০৯ সালে ৭৩টি দেশে ওষুধ রফতানির পরিমাণ ছিল ৩শ’ ৪৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে এসে ১২৭টি দেশে ওষুধ রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকায়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এ চিত্র পাওয়া গেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওষুধশিল্প সম্পর্কে বলা হয়, স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশে ওষুধপ্রাপ্তি মূলত আমদানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে অনেক উচ্চ মূল্যে জনগণকে ওষুধ ক্রয় করতে হত।

কিন্তু বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন করছে। বর্তমানে শুধুমাত্র কিছু হাইটেক প্রোডাক্ট যেমন ব্লাড বায়োসিমিলার, অ্যান্টিক্যান্সার ড্রাগ ও ভ্যাকসিন ইত্যাদি আমদানি হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ওষুধ আমদানিকারক দেশ থেকে রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধ সুনাম অর্জন করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল ইউরোপ ও আমেরিকাসহ মোট ১২৭টি দেশে রফতানি করছে এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় রফতানির পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বছরওয়ারি ওষুধ রফতানির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ৩শ’ ৪৭ কোটি ১৭ লাখ, ২০১০ সালে ৩শ’ ৩২ কোটি ৫৫ লাখ, ২০১১ সালে ৪শ’ ২৬ কোটি ১৫ লাখ, ২০১২ সালে ৫শ’ ৫১ কোটি ২২ লাখ, ২০১৩ সালে ৬শ’ ১৯ কোটি ৯৩ লাখ, ২০১৪ সালে ৭শ’ ৩৩ কোটি ২৭ লাখ, ২০১৫ সালে এক হাজার আট কোটি আট লাখ ও ২০১৬ সালে দুই হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকা।

(ওএস/এসপি/জুন ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test