E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লটকনের পুষ্টিগুণ

২০১৪ জুন ২৩ ১৪:২৯:১১
লটকনের পুষ্টিগুণ

নিউজ ডেস্ক : বনে বাদাড়ে লটকন গাছে ঝুলে থাকে গোলগোল হলদে লটকন। ভেতরে হালকা গোলাপি বা বেগুনি রঙের সাদাটে রসালো কোয়া। টক-মিষ্টি এই ফলটি সাধারণত বর্ষাকালেই পাওয়া যায়। ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana।

এই ফল সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করা হয়। লটকনকে আগে ফল হিসাবে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হতো না কিন্তু বর্তমানে এর পুষ্টিমান প্রকাশিত হওয়ায় এর কদর বেড়েছে। মিষ্টি স্বাদের লটকনের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। নরসিংদীতে লটকনের ফলন বেশি হলেও সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাজীপুর—এসব জেলায়ও ইদানীং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লটকনের চাষ হচ্ছে।
পুষ্টিগুণ :
লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ বি’ রয়েছে। প্রতি গ্রাম লটকনে ভিটামিন বি-১ আছে ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম রয়েছে ভিটামিন বি-২। পাকা লটকনে খাদ্যমানে খুব সমৃদ্ধ্ প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে থাকে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও রয়েছে আমিষ, লৌহ এবং খনিজ পদার্থ। বিস্ময়কর তথ্য হলো লটকনে আছে কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরি।
ভেষজগুণ:
লটকনের পুষ্টিগুণের সাথে সাথে রয়েছে ভেষজগুণ।
লটকন খেলে সহজেই দূর হয় বমি বমি ভাব, বাড়িয়ে দেয় মুখের রুচি।
এটি মানসিক চাপ কমিয়ে আনে।
লটকন গাছের শুকনো পাতার গুঁড়ো ডায়রিয়ায় খুব উপকারি।
এ গাছের পাতা ও মূল পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহুকাল ধরে।
গাছের ছাল ও পাতা চর্মরোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গনোরিয়া রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় লটকন ফলের বীজ।
বাজারে এখন লটকন পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই-তিনটা লটকন খেয়ে স্বাদ নিতে পারেন মৌসুমী এ ফলের আর গ্রহণ করতে পারেন পুষ্টিমান যা আপনার সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা দিবে।
(ওএস/এএস/জুন ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test