E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফেসবুকের গোপন বিষয়গুলো

২০১৮ অক্টোবর ০৬ ১৮:২১:২৭
ফেসবুকের গোপন বিষয়গুলো

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ফেসবুকের ১.৪৭ বিলিয়ন দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এবং দুই বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী আছে। প্রতিদিন ফেসবুকে ১০০ মিলিয়ন ঘণ্টার ভিডিও দেখা হয়। একটা প্রশ্ন যে কারও মাথায় আসতেই পারে, ফেসবুক কোনও পোস্ট রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত কিভাবে নেয়?

যদি ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কোনও কন্টেন্টকে অসঙ্গত মনে করে, তবে তারা রিপোর্ট করতে পারে। এরপর একজন কন্টেন্ট মডারেটর সিদ্ধান্ত নেয় এর ফলে প্ল্যাটফরমটির নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে নাকি হয়নি। এই রিপোর্টগুলোর প্রতিটিকে বলা হয় টিকেট এবং টিকেটগুলো সারিবদ্ধ হয়। এই সারিবদ্ধ টিকেটের সাহায্যে কাজ করে মডারেটররা।

এই প্রক্রিয়ায় যিনি রিপোর্ট করেন, তিনি ফেসবুকের কন্টেন্ট মডারেশন ট্রেইনিদের একজনের ভূমিকা পালন করেন। তিনি যে কন্টেন্টে রিপোর্ট করেন, তা প্রায়ই ফেসবুকে রাখা হয়। বিশেষ করে এটা সম্পর্কে অন্যদের ভাবনাচিন্তা বোঝার জন্যই করা হয়। এভাবে ফেসবুক ‘এক্সট্রিম কন্টেন্ট’ নির্ধারণ করে।

একজন মডারেটর জানান, যদি খুব বেশি সেন্সর করা শুরু হয়, তবে মানুষ এই প্ল্যাটফরমের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। দিন শেষে এসবই অর্থের যোগান দেয়। যখন একটি পেজে অনেক ফলোয়ার এবং অনেকে যুক্ত থাকে, তখন সেটাকে সুরক্ষিত করা হয়। এমনকি এতে যদি বিদ্বেষমূলক বার্তা থাকে।

যখন ব্রিটেনের প্রথম ফেসবুক পেজটি ধ্বংস করা হয়, তখন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। পেজটিতে অসংখ্য ফলোয়ার ছিল এবং এটা থেকে ফেসবুকের প্রচুর আয় হতো। তবু ফেসবুকের আট বা নয়টি নীতি লঙ্ঘন করায় পেজটি ধ্বংস করা হয়।

ফেসবুকের প্রথমদিকের বিনিয়োগকারীদের একজন রজার ম্যাকন্যামি প্ল্যাটফরমটিতে সংবেদনশীল কন্টেন্ট রাখার সিদ্ধান্ত নেন, যা ছিল প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস মডেলের একটি সুপরিকল্পিত অংশ।

তিনি বলেন, ফেসবুকের দৃষ্টিকোণ থেকে… [এটা হলো] তাদের পণ্যের ‘ক্র্যাক কোকেন’।

তিনি বলেন, এটা সত্যিই কন্টেন্টের ‘এক্সট্রিম’ ও ‘ডেঞ্জারাস’ ফরম, যা অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করে এবং ফেসবুকে যুক্ত করে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের সাবেক এই পরামর্শদাতা বলেন, ফেসবুক ভালো করেই বুঝেছে যে এক্সট্রিম কন্টেন্ট সরবরাহকারীই সবচেয়ে মূল্যবান। কারণ এটি আরও ৫০ বা ১০০ জনকে যুক্ত করে। তাই ফেসবুক বেশি বেশি ‘এক্সট্রিম কন্টেন্ট’ চায়।

সম্প্রতি ফেসবুকের পাবলিক পলিসি প্রধান রিচার্ড অ্যালান কিছু অবমাননাকর কন্টেন্ট ডিলিট করতে না পারার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ফেসবুকের নিয়মগুলো আয়কেন্দ্রিক নয় বলেও যে কথা প্রচলিত আছে, সেটিও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, কন্টেন্ট সহিংস হলে তা মুছে ফেলা হবে।

সম্প্রতি ফেসবুক জানিয়েছে, প্রায় ৫০ মিলিয়ন নিয়ম ভঙ্গকারী অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এই বছরের শুরুতে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণায় কাজ করা ডেটা অ্যানালিটিকস ফার্ম ‘ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা’ কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে গেছে।

গত বুধবার (৩ অক্টোবর ২০১৮) আল জাজিরা’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test