E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করতে হবে

২০১৯ নভেম্বর ০৩ ১৬:২৮:৫৪
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করতে হবে

নিউজ ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে মানবসম্পদ। এ সম্পদ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের উপযোগী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে জাপানসহ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজারে তরুণ প্রজন্মের বিপুল ঘাটতি পূরণের বিশাল সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।

এ লক্ষ্যে কম্পিউটারসহ ডিজিটাল শিক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করতে হবে।

শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ-জাপান জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির (বিজেআইটি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা কোড স্যামুরাই-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নওকি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, জাপান বহুমুখী বাণিজ্য সংস্থার (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজি অ্যান্ডো এবং বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ বক্তব্য রাখেন। প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপানি ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় গত ১১ বছরে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম দেশ যে দেশটির নামের আগে ডিজিটাল শব্দ সংযুক্ত করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে পৃথিবীকে চমকে দেয়। এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি স্নাতকরা সারা পৃথিবীতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮০টি দেশে আইটি পণ্য রফতানি করছে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টি আরও বিস্তৃত। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বিপ্লব বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সেই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।

মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর করতে না পারলে ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় ভার্সন ফাইভ-জি একটি নতুন ডিজিটাল সভ্যতার জন্ম দিচ্ছে। এই সভ্যতা সারা পৃথিবীকে এমন পরিবর্তনের সূচনা করবে যা মানবসভ্যতা এর আগে দেখেনি। ফাইভ-জির সঙ্গে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং যুক্ত হলে পৃথিবীতে যে সভ্যতার জন্ম হবে মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না।

প্রতিযোগিতায় ২৫টি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৭টি দল প্রাথমিক বাছাই পর্বে আবেদন করে এবং বাছাইপর্বে নির্বাচিত ৩৪টি দল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যা টানা ৩০ ঘণ্টাব্যাপী চলে।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ডিইউ এক্সপুরি, দ্বিতীয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিইউ স্প্রিং বুকস দল এবং তৃতীয় হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েট ম্যাঞ্জারো দল।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test