E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যে কারণে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক

২০২০ ডিসেম্বর ২৮ ১৪:৪৩:৪৫
যে কারণে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : চলতি বছরে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ। এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এক মারাত্মক তথ্য। গর্ভস্থ শিশুর প্ল্যাসেনটাতেও পাওয়া গিয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

চারজন স্বাস্থ্যবতী মহিলা যারা স্বাভাবিকভাবে গর্ভবতী হয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই শিশুর জন্ম দিয়েছেন, তাদের গর্ভস্থ শিশুর প্ল্যাসেন্টাতেই মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে।

তা ছাড়াও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে যে মেমব্রেনে ফিটাস বা ভ্রূণ জন্ম নেয়, সেখানেও। খবর মোতাবেকে প্ল্যাসেন্টার মাত্র ৪% বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যদি পুরোটা দেখা হত তা হলে স্বভাবতই এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের পরিমাণ অনেক বেশি হত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক কীভাবে পৌঁছে গেল শিশুর প্ল্যাসেন্টা পর্যন্ত?

জানাগেছে, এই কণাগুলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এগুলো প্লাস্টিক। এর মধ্যে পাওয়া গিয়েছে নানা রকমের রঙের কণা। ডাই করা নীল রঙ, লাল, কমলা বা গোলাপি- এই সমস্ত রঙের উৎস হলো প্যাকেজিং, পেইন্ট, প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত সুরক্ষার নানা বস্তু।

এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি পত্রিকায় প্লাস্টিসেন্টা নামে এই গবেষণা প্রকাশ পায়। যেখানে স্পষ্টভাবে মানব শরীরের প্ল্যাসেন্টায় প্রথমবার মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার কথা উল্লেখ আছে।

গবেষকরা বলেছেন যে একটি ভ্রূণের বিকাশ ও বাহ্যিক পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্ল্যাসেন্টার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সেখানে প্ল্যাসেন্টার মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকাটা একটা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়।

গবেষকরা দাবি করেছেন যে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা প্রয়োজন। যাতে এটা বোঝা যায় যে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক কোনোভাবে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে কি না।

পাশাপাশি, এর থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থ সামগ্রিকভাবে শিশুর পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, সেটাও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

তবে এখনই যে ফলাফল উঠে এসেছে তাতে যে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি কিছুটা হলেও রহিত হবে এবং স্বাভাবিকভাবে শিশুর জন্মের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে সেই বিষয়ে গবেষকরা নিশ্চিত।

রোমের হাসপাতালের নারীরোগবিশেষজ্ঞ বলেছেন, এ যেন অনেকটা মিশ্র প্রজাতির সন্তানের জন্ম দেয়া। যার অর্ধেক জৈবিক এবং বাকিটা অজৈব পদার্থ দিয়ে গঠিত।

প্লাস্টিক পচনশীল নয়, এটা শুধু ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে যায়। তাই সামুদ্রিক প্রাণীদের মৃত্যু ঘটানো থেকে শুরু করে আমাদের স্বাভাবিক খাদ্য শৃঙ্খলকেও বিনষ্ট করে দেয় এই প্লাস্টিক। সেটা যদি এবার গর্ভস্থ শিশুর কাছেও পৌঁছে যায়, চিন্তার কারণ রয়েছে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test