E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘শিক্ষিত বেকারদের টিকে থাকতে হলে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই’

২০২২ মে ৩১ ১৬:০৭:৫৩
‘শিক্ষিত বেকারদের টিকে থাকতে হলে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই’

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শিক্ষিত বেকারদের টিকে থাকতে হলে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। দেশে প্রতি বছর ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণী কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। তাদের জন্যেই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে আত্মকর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই আমরা সারা দেশের ৬৪ জেলায় নির্মিত হচ্ছে, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার।এজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। তিনি বলেন,আগামী দিনে আইটি ইন্ডাস্ট্রি দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়কারী সংস্থায় পরিনত হবে। এমন উদ্দেশ্যে দেশের স্থাপিত হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার। এর মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক মানবসম্পদ গড়ে উঠবে। শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে মেধা নির্ভর অর্থনীতিতে যাওয়ার জন্য এই উদ্যোগ সরকারের । এতে অর্থনীতিতে অবদান রাখবে উৎপাদনমুখী ও কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষিত যুবসমাজ।

অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীসহ প্রশাসনের উবর্ধতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আইটি সেন্টারটি দিনাজপুর সরকারী কলেজের ভেতরে ২ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।৬তলা বিশিষ্ট ৪৮ হাজার বর্গফুটের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন ভবন নির্মাণ হবে। আগামী ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই বাস্তবাায়িত হবে এই সেন্টার। ইতোমধ্যেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নে একনেক কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে।

ন্যুনতম এসএসসি/সমমান পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করা,স্টার্ট-আপদের সহায়তা প্রদান ও আইটি/আইটিইএস সেক্টরে যুব সমাজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করা এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।

প্রথম তলায় থাকবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসেপশন, উপাসনা কক্ষ, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সিকিউরিটি এবং সার্ভিলেন্স সেন্টার, প্লাগ অ্যান্ড প্লে ফ্যাসিলিটিজ এবং ফুড কর্নার। দ্বিতীয় তলায় থাকবে স্টার্টআপ স্পেস ও লার্নিং সেন্টার। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকবে ট্রেনিং, এইচআরডি সেন্টার এবং মিটিং কক্ষ। ৫ম তলায় থাকবে আইটি, আইটিএস ইন্ডাস্ট্রি, বিজনেস অফিস ও ইনকিউবেশন ফ্লোর। আর ৬ষ্ঠ তলায় থাকবে সোশ্যাল আমেনিটি ফ্লোর এবং জিম। এই প্রকল্পে যেমন তরুণ-তরুনীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে তেমনিভাবে হবে উৎপাদনমুখী ও কর্মসংস্থানমুখী কাজ। ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য তথ্য প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে সামনে রেখে জ্ঞানভিত্তিক মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সারাদেশে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায়‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১)টি’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। লক্ষ্য, এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিতে রূপান্তর। এর জন্য সারাদেশে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় স্থাপন করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র।

(এস/এসপি/মে ৩১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test