E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

একটি খাওয়া আপেলের দাম কত?

২০১৪ অক্টোবর ১৯ ১৭:৫৯:১৭
একটি খাওয়া আপেলের দাম কত?

নিউজ ডেস্ক : এক কামড় খেয়ে রাখা একটি আপেলের দাম কত হতে পারে বলে আপনার ধারণা?

বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী আপেলের কেজি ১৫০-২০০ টাকা। সেই হিসেবে একটি আপেলের দাম আর কত হবে সর্বোচ্চ ১৫-২০ টাকা। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি আপেল আছে যেটি এক কামড় খেয়ে ফেলে রাখা এবং সেটিই পৃথিবীর সবচেয়ে দামি অাপেল!

কত দামি? এত দামি যে এর দাম দিয়ে তিন বছর কোনও ঘাটতি ছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেও বেঁচে যাবে ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা ফেসবুক ও ক্যাননের ব্র্যান্ড ভ্যালুর সমান।

জ্বী, আপনি ঠিকই ধরেছেন। কথা বলছি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি অাপেল নিয়ে যেটি পরবর্তীকালে সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড ভ্যালুর মর্যাদা পেয়েছে, নাম অ্যাপল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই ব্র্যান্ডটির দাম ১১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি নাম ও লোগো। অ্যাপল পণ্যের ব্যবহারকারীরা গর্বিত অনুভব করতেই পারেন।

মানুষ নামকে বড় করে, কথাটি অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন। আপেল খেতে পছন্দ করা থেকেই নামটি দিয়েছিলেন স্টিভ জবস। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারকে ঢেলে সাজিয়ে দিয়েছে।

কম্পিউটার, মোবাইল অনেক আগে আবিষ্কার হলেও অ্যাপল না হলে হয়তো আমাদের এই ডিভাইসগুলি অন্য কোনওভাবে দেখতে হত। যেমন ডেস্কটপে মাউসের ব্যবহার, মোবাইলকে কম্পিউটারের মত ব্যবহার, ল্যাপটপের উন্নয়ন, ট্যাবের বিবর্তন।

অ্যাপল নিজেই স্বীকার করে থাকে যে, তারা হয়তো এসব ডিভাইসকে আবিষ্কার করেনি কিন্তু পুনঃআবিষ্কার করেছে। টেকনোলজির যুগান্তকারী আবিষ্কার আইপডের মাধ্যমে অ্যাপল মানুষের গান শোনার অভিজ্ঞতাকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।

সৃষ্টিশীল এই কোম্পানিটি যেদিকেই হাত দিয়েছে সেদিকেই সফলতা পেয়েছে। বর্তমানে অ্যাপলের যে স্থায়ী ক্যাম্পাসটি হচ্ছে সেটির ডিজাইনও একেবারেই যুগান্তকারী। বৃত্তাকার একটি ভবন।

‘থিংক ডিফারেন্ট‘ বা ভিন্নভাবে চিন্তা করো স্লোগান নিয়ে অ্যাপল চলে গেছে সাফল্যের চূড়ায়। কোম্পানিটির বর্তমান বাজার মূল্য ৫৯১ বিলিয়ন ডলার।

ব্র্যান্ড দামের ক্ষেত্রে অ্যাপলের পরেই অবস্থান করছে গুগল। ইন্টারনেটের প্রাণকেন্দ্র এই সার্চ ইঞ্জিনটির নাম ও লোগোর মূল্য ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্য নিয়ে এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মিশিনস বা আইবিএম।

ব্র্যান্ড নামের দামের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে থাকলেও ফেসবুক এগিয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত। গত বছর থেকে এই বছরে ফেসবুকের ব্র্যান্ড ভ্যালু ইতিমধ্যেই বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে এক সময়ের সেরা মোবাইল ব্র্যান্ড নকিয়া। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলতে পারায় কোম্পানিটির ব্র্যান্ডের দাম কমতে কমতে এখন মাত্র চার বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকেছে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারব্র্যান্ড

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test