E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

‘অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়’

২০২৩ জানুয়ারি ২৫ ১৭:০৭:৪৩
‘অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়’

স্টাফ রিপোর্টার : অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ব্যবহারকারীর জন্য বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি শব্দ ব্যবহার করেছে, বাধ্যতামূলক। এ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। যেকোনো অ্যানড্রয়েড ফোনে আপনি কোনো সফটওয়্যার রাখতে পারেন, আনস্টল করতে পারেন, ফেলে দিতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অ্যানড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে প্রথমে মন্ত্রী বলেন, এটা আইনের বিষয়, এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

এরপর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয় ব্যক্তি হিসেবে আপনার মন্তব্য কি? উত্তরে মোস্তফা জব্বার বলেন, আমি একটি ব্যাখ্যা দেবো, সেটি হচ্ছে বিটিআরসি একটি শব্দ ব্যবহার করেছে, বাধ্যতামূলক। এ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। যেকোনো অ্যানড্রয়েড ফোনে আপনি যে কোনো সফটওয়্যার রাখতে পারেন, আনস্টল করতে পারেন, ফেলে দিতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব, বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই। এটি বাধ্যতামূলক নয়।

তিনি বলেন, কারো জন্য বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে? যেটি বলা হয়েছে যিনি উৎপাদক অথবা আমদারিকারক তিনি বাংলা লেখার সুবিধা তৈরি করে দেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার দিয়ে দেবেন। ব্যবহারকারী সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন কী করবে না, সেটি সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।

কল ড্রপ নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কল ড্রপ হওয়ার দুটি কারণ। এর একটি হলো- যে পরিমাণ টাওয়ার থাকার কথা, নেই। টাওয়ারের সংযোগে ফাইবার ব্যবহার না করা, ফাইভ-জি চালু করতে হলেও অবশ্যই ফাইবার সংযোগ লাগবে।

আর একটি কারণ প্রচুর জ্যামার বসানো। প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হয়। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত কোয়ালিটি অব সার্ভিস ইম্প্রুভের দিকে ফোকাস করছি- যোগ করেন মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, আমাদের যারা টেলিকম অপারেটর আছেন, তাদের কল ড্রপসহ অন্যান্য সমস্যা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। কল ড্রপ নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা একটি পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটি হলো প্রথমবার কল ড্রপে যে টাকা কাটা যাবে, গ্রাহক তার তিনগুণ ফেরত পাবেন।

ফাইভ-জির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ফোর-জি সেবাও ভালোভাবে পাওয়া যাচ্ছে না- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা পুরোপুরি ফাইভ-জিতে চলে যেতে পারতাম। সে লক্ষ্যে প্রস্তাব একনেকে নিয়েও গিয়েছিলাম। এর জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা দরকার। ফলে তখন ভেবেছিলাম কিছুদিন পর এটা পুরোপুরি চালু করবো। বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা ফাইভ-জিতে চলে যাবো। শিল্পসহ অন্যান্য উন্নয়নের জন্যও ফাইভ-জি অত্যাবশ্যক। কেউ যদি আমাদের দেশে এসে বলে, রোবট ফ্যাক্টরি করবো, সে যদি ফাইভ-জি সুবিধা চায়, আমাদের দিতে হবে।

তিনি বলেন, একটি টেলিকম অপারেটর মানসম্পন্ন সেবা দিতে না পারায় আমরা তাদের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলাম। এখন তাদের সার্ভিস ভালো হয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, আপনি যদি দেখেন, ১৫ বছর আগে মানুষের চাহিদা ছিল সীমিত। তখন ফোনে একটা কল করতে পারলেই চলতো। কিন্তু এখন প্রতিটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ভিডিও কল করে। মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে। এ জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নতির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রযুক্তির পাশাপাশি অবকাঠামোও যাতে উন্নত হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি।

ডিসিদের পক্ষ থেকে কোন বিষয়ে কী বলা হয়েছে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, গত বছর বন্যায় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ডুবে যাওয়ায় সিলেট অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হয়। সে প্রসঙ্গ ধরে ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে ডিসিদের তরফ থেকে সম্মেলনে প্রশ্ন এসেছে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test