E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হ্যাকারদের বানানো নকল লিংক চেনার উপায়

২০২৩ আগস্ট ২২ ১৮:২৪:৫০
হ্যাকারদের বানানো নকল লিংক চেনার উপায়

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে কমবেশি সবাই স্মার্টফোন এবং সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করছেন। এতে না বুঝে প্রায়ই হ্যাকারদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকে। হ্যাকাররা বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিশিং।

বিভিন্ন ব্যাংক, ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম, জি-মেইল, বিভিন্ন সংস্থার লগইন পেইজ এর মতো ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবহারকারীদের কাছে মেসেজ পাঠায়। সেসব ওয়েবসাইটে ঢুকলেই ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ম্যাওয়্যার ঢুকে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সেসব ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা।

অনেক সময় হয়তো খেয়াল করেছেন নামিদামি কোনো সংস্থা, ব্র্যান্ড বা সাইট থেকে আপনার কাছে মেসেজ বা ই-মেইল আসছে। বিভিন্ন অফারের কথা জানানো হচ্ছে এবং সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কিংবা সেখানে জয়েন হতে লিংকে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করছে। আপনার কাছে এটি আসল মনে হলেও আসলে এগুলো হ্যাকারদের প্রতারণার ফাঁদ।

সাধারণভাবে এসব ওয়েবসাইট দেখতে একেবারে আসল ওয়েবসাইটের মতোই। তবে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে আসল নকল চিনতে পারবেন।

>> যেই ই-মেইল অ্যাড্রেস থেকে এসেছে সেই ই-মেইল বা মেসেজ এসেছে সেটিকে যাচাই করুন। ওয়েবসাইটের ডোমেইন চেক করতুন। ভালোভাবে খেয়াল করুন সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএলটিতে এইচটিটিপি আছে কি না। সেই সঙ্গে ইউআরএলের বানান ঠিক আছে কি না। ভুয়া বা নকল ওয়েবসাইটের ইউআরএলে সাধারণত এই ভুলগুলো থাকে।

>> ভুয়া বা ভুল তথ্য শনাক্তকরণের জন্য প্রথমেই দেখবেন, হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে বা যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মেসেজটির পাশে ‘ফরওয়ার্ড’র চিহ্নটি আছে কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া মেসেজগুলো ফরওয়ার্ড হয়ে বিভিন্ন মানুষের মেসেজে আসে।

>> ফরোয়ার্ড করা মেসেজগুলো যিনি সেন্ড করেন, তিনি কিন্তু লেখেন না। ওই ব্যক্তিও হয়তো অন্য কারও কাছ থেকে ফরওয়ার্ডকৃত মেসেজটি পেয়েছেন। পরবর্তীতে হয়তো তিনি মেসেজটি আপনাকে পাঠিয়েছেন। তাই পরিচিতজনের কাছ থেকেও যদি এমন ফরওয়ার্ডকৃত মেসেজ পেয়ে থাকেন, তবে তার সত্যতা জানুন আগে।

>> অনেক সময় ভুয়া মেসেজগুলোতে দেখবেন, বানান ভুল বা অনেক অক্ষর থাকতে পারে। যেগুলো কোনো অর্থ প্রকাশ করে না ঠিকই, কিন্তু ওই লেখাগুলো হাইপারলিংক করা থাকায় ট্যাপ করলেই আপনি অন্য একটি পেজে ঢুকে যাবেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেখানে একটি ফরমে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা পাসপোর্টের নম্বর চাইতে পারে। ভুলেও এসব তথ্য কোনো পেজে যুক্ত করবেন না। এগুলো হ্যাকারদের কাজ।

মনে রাখবেন, কোনো সংস্থা আপনার কাছে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে ব্যাংকের পাসওয়ার্ড, ই-মেইলের পাসওয়ার্ড জানতে চাইবে না। এমনকি এভাবে মেসেজের মাধ্যমে কোনো অফারও জানাবে না। তারা তাদের বিভিন্ন নতুন অফার বা পরিবর্তন তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে।

সূত্র: ইজি ডিমার্ক, দ্য সি মাস্টার

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test