E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

২০১৪ ডিসেম্বর ২৪ ০৯:২৭:২৯
দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে একটিমাত্র সাবমেরিন কেবলে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ। এ ক্যাবলটি প্রায় বিশ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। এর সঙ্গে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ১৬টি টেলিকম কোম্পানি সংযুক্ত রয়েছে।

তবে এ ক্যাবলটি কোনো কারণে কাটা পড়লে বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা মেরামত করতে প্রায় ৭ থেকে ১০দিন সময় লেগে যায়। প্রায়ই সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়ার কারণে বাংলাদেশ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

গ্রাহকদের যেন ভোগান্তিতে না পড়তে হয় তাই বিকল্প একটি সাবমেরিন ক্যাবলে ব্যাপক পরিসরে এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটিডে (বিএসসিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এ অঞ্চলে ‘এসইএ-এমইএ-ডাব্লিউ-৫’ কনসোটিয়াম কাজ শুরু হয়েছে। এতে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর এবং ভূমধ্যসাগর। এর গ্রাউন্ড লোকেশন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা।

সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইডথ চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সবগুলো আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটর (আইজিডাব্লিউ) অপারেশনাল চালু হলে ব্যান্ডউইডথ চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া, দেশে থ্রিজি মোবাইল সার্ভিস চালু হাওয়ায় ব্যান্ডউইডথ চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে প্রতিদিন ৩২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ১৬৬ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩৫২ কোটি টাকা এবং বিএসসিসিএল এর নিজস্ব অর্থ ১৪২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বিএসসিসিএল প্রকল্পটি জুন ২০১৬ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এক হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথসহ যুক্ত হবে বাংলাদেশ। ইতোমধেই পটুয়াখালীতে ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। দশ একর জায়গার ওপর অবকাঠামো কাজ করা হবে। বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ৩৬০টি পাইলিং করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। দশ একর জায়গার ওপর অবকাঠামো কাজ করা হবে। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ৩৬০টি পাইলিং করা হয়েছে। দ্বিতীয় সাবমেরিন প্রকল্পের আওতায় আমাদের মোট চাহিদা ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথড। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশকে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটে সংযুক্ত রাখতে সক্ষম হবো।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test