E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১৫ জুন, ১৯৭১

ভুরুঙ্গমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়

২০১৮ জুন ১৫ ০০:১০:১৯
ভুরুঙ্গমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : সুনামগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর ধরমপাশা ঘাঁটির ওপর দুহাজার পাক আর্মি ও মিলিশিয়ার একটি দল বারহাট্টা থানাধীন সিংধা- দরমপাশা রাস্তা ধরে, আরেক দল কংস নদীর পথে ও অন্য একদল মোহনগঞ্জ-ধরমপাশা রাস্তা ধরে সম্মিলিতভাবে ত্রিধারায় আক্রমণ চালায়।

এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন মেজরসহ ২০ জন সৈন্য নিহত হয়। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই শহীদ হন। এ যুদ্ধের পর পাকবাহিনী ধরমপাশা সদর দখল করে নেয় এবং নিরীহ মানুষদের ওপর নিপীড়ন, নৃশংস হত্যাকান্ড ও নারী নির্যাতন করে। পাক বর্বররা ধরমপাশা বাজার পুড়িয়ে দেয়।

সিলেট শাহাজীবাজারের কাছে রেল সেতুতে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনা বোঝাই একটি ট্রেনকে এ্যামবুশ করে। এত ১৫০ জন পাকসেনা নিহত ও ট্রেনটি ধ্বংস হয়।

রংপুরের ভুরুঙ্গমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে পাকবাহিনীর বিপুল ক্ষতি স্বীকার করে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ এ. মার্কোস ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর এক পত্রের জবাবে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিবাদের ফলে সেখানকার বাঙালি জনগণের দৃঃখ-দৃর্দশায় ফিলিপাইন সরকার ও জনগণ গভীরভাবে মর্মাহত।

বৃটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল বাংরাদেশ সফরের উদ্দেশে ঢাকা আসেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন মিসেস জিল নাইট, জেমস এ কিলফেডার ও জেমস টিন।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তানের মনোভাব ব্যক্ত করতে বিদেশী রাষ্ট্র সফরের জন্য প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় তার দেশ ত্যাগ করা উচিত নয়, কিন্তু যেখানে প্রেসিডেন্ট অনুরোধ করেন তখন তা বিবেচনা করা তার কর্তব্য।

সামরিক কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ প্রস্তকের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে: আবদুল জলিলের যুগসঙ্গীত, শংকর প্রসাদ ঘোষ ও অরুণ দাশগুপ্তের অভিযাত্রী, পূর্ববঙ্গের লীগ সরকারের এক বছর, যাযাবরের ঝিলাম নদীর তীরে, প্রবোধ কুমার সান্যালের হাসুবানু, নূরে আলম সিদ্দিকীর রক্তাক্ত পোত, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ, মুজাহিদের আলাদা হাওয়াই মুক্তির পথ।

পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর টিক্কা খান গভর্নর সম্মেলনে নিজের সফলতা বর্ণনা করে বলেন, আমাকে পাঠানো হয়েছে সমাজবিরোধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খতম করার জন্য। আমি তা করেছি। প্রেসিডেন্ট যেকোনো দিন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/১৫ জুন, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test