E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২১ অক্টোবর, ১৯৭১

মনোহরদি ও কাপাসিয়ায় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ২১ জন পাকসেনা নিহত হয়

২০১৯ অক্টোবর ২১ ০০:১৭:৩১
মনোহরদি ও কাপাসিয়ায় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ২১ জন পাকসেনা নিহত হয়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার পাকঘাঁটির কিছু দূরে রাস্তার উপর মাইনের সাহায্যে এফ-বুবীট্র্যাপ লাগিয়ে এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল এ্যামবুশের দিকে অগ্রসর হলে বুবী ট্র্যাপের ওপর পড়ে যায় এবং মাইন বিস্ফোরণের ফলে ১৬ জন পাকসেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয়।

৩নং সেক্টরে হাবিলদার আকমল আলীর নেতৃত্বে এক কোম্পানী গেরিলা যোদ্ধা পাকহানাদার বাহিনীর মনোহরদী ঘাঁটি অবরোধ করে। এই অবরোধের সময় ইপিআর-এর যেসব লোক পাকিস্তানিদের সাথে ছিল তারা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে চলে আসে এবং যুদ্ধ শুরু করে। কয়েকঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে ২৫ জন পাকসৈন্য নিহত ও বাকী ১১জন বন্দী হয়।

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও পিপিপি-র নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকায় পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি মিয়া মাহমুদ আলী কাসুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু ব্যক্তিদের জীবনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হুমকি অব্যাহত থাকলে এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পিপিপি উপ-নির্বাচন বর্জন করবে। তিনি পার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দাবি জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব উ’থান্ট ভারত ও পাকিস্তানের কাছে দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসের লক্ষ্যে জাতিসংঘকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগের জন্য নতুন প্রস্তাব করেন।

জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে ৭৮টি শূন্য আসনের মধ্যে ৭৫টি আসনে ১৯২ জন পার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানা যায়।

‘মুক্তবাংলা’ পত্রিকার প্রতিবেদন

মনোহরদি ও কাপাসিয়া থানার মুক্তিবাহিনী চতুর্মুখী আক্রমণে মনোহরদিস্থ পাক ঘাঁটিটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। ঘটনাস্থলে ২১ জন শত্রুসৈন্য নিহত হয়। ৫ জন শত্রুসৈন্যকে আটক করা হয়। মুক্তিবাহিনী এখান হতে প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

৪০ জনের একটি গেরিলা দল স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে জুরাইনে পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরীর মালিকানাধীন প্যাকেজিং কারখানা আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয়। এই আক্রমণে কারখানার আগুনে দগ্ধ হয়ে একজন মারা যায়।

আমজাদ নগরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এতে ১ জন পাকসৈন্য নিহত এবং তিনজন আহত হয়। এ যুদ্ধে একজন সাধারণ নাগরিক বুলেট বিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/অক্টোবর ২১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test