E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২৫ জুলাই, ১৯৭১

রাজাকাররা ভীত হয়ে সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে

২০২০ জুলাই ২৫ ১০:০৭:৩৭
রাজাকাররা ভীত হয়ে সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ময়মনসিংহে মেজর আফছার উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর মল্লিকবাড়ি ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৬ জন সেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

কুমিল্লার ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নির্দেশে মুক্তিবাহিনীর একটি কমান্ডো কোম্পানীর ছাতুরার কাছে রাজাকার ক্যাম্পের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় এই আক্রমণে ১৬ জন রাজাকার নিহত ও ৬ জন আহত হয়। এই এলাকার রাজাকাররা ভীত হয়ে সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধারদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং মুক্তিবাহিনীর সাথে সহায়তা করার অঙ্গীকার করে।

লেঃ হারুনের এ্যামবুশ দল কুমিল্লার নরসিংহের কাছে পাকসেনাদের ৬ জন দালালকে এ্যামবুশ করে এবং তাদেরকে বন্দী করে ঘাঁটিতে নিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধরা দালালদের কাছ থেকে ১৪ পাউন্ড বিস্ফোরক ও তিনটি গ্রেনেড দখল করে।

মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পুবাইলের কাছে পাকবাহিনীর একটি ট্রেন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। ইঞ্জিনসহ তিনটি বগী লাইনচ্যুত হয় এবং আগুন লেগে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত হয়। এতে ট্রেনের আরোহী ৩০/৩৫ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়।

প্রধান নির্বাচনী কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার ইসলামাবাদ থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান।

‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক ও গভর্নর লেঃ জেনারেল টিক্কা খান কুমিল্লায় বলেন, আমরা শান্তি চাই কিন্তু ভারত সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, শান্তি রক্ষা ও দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিবাহিনী) নির্মূল করার কাজে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যেই শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়েছে।

মাওলানা মান্নান ও শর্ষিনার পীরের নেতৃত্বে জমিয়তুল মোরদার্রেছীন ও জমিয়তুর মাশায়েখের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল পশ্চিম পাকিস্তান সফর করেন। তারা উদ্বিগ্ন পশ্চিম পাকিস্তানিদের আশস্ত করে বলেন, ‘আমাদের সকল অনুসারীরা পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার্থে বিদ্রোহীদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।’

মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে ইসলামপুর ইউনিয়নের শান্তি কমিটির দালালরা মিলিত হয়। তারা প্রত্যেক ইউনিট থেকে ২৫ জন সদস্য নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠনের সীদ্ধান্ত নেয়।

‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়ঃ ‘বাংলাদেশের হাজার হাজার ছাত্র যুবক মুক্তিবাহিনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে আগাইয়া আসিতেছে। তাহাদের ট্রেনিং-এর সুযোগ-সুবিধা আরো উন্নত ও সম্প্রসারিত করিতে হইবে এবং রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত কারণে কাহারো বিরুদ্ধে বৈষ্যম্যমূলক আচারণ করা চলিবে না।’

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/জুলাই ২৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test